Narendrapur Robbery Case: পুলিশ সেজে ডাকাতি নরেন্দ্রপুরের তরুণীর
পুলিশ সেজে ডাকাতি নরেন্দ্রপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। বছর বাইশের ডাকাতির মুলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নরেন্দ্রপুরের খুড়িগাছির এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম দীপা মজুমদার। এই ঘটনায় তার এক প্রেমিকও যুক্ত। সেই যুবকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
কলকাতা, ২৬ আগস্ট: পুলিশ সেজে ডাকাতি নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। বছর বাইশের ডাকাতির মুলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নরেন্দ্রপুরের খুড়িগাছির এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম দীপা মজুমদার (Deepa Majumder)। এই ঘটনায় তার এক প্রেমিকও যুক্ত। সেই যুবকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
গত শনিবার নেতাজীনগরে (Netajinagar) অরূপ দত্ত (Arup Dutta) নামে একজন ব্যবসায়ীর বাড়ি হানা দেয় পুলিশ। ছয়জন মিলে আসে ডাকাত দল। তার মধ্যে ৩ জনের পরনে ছিল পুলিশের উর্দি। বাকি তিনজন ছিল সাধারণ পোশাকে। গৃহকর্তাকে বন্দুক দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না লুট করে দুষ্কৃতীরা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। পিছনে ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। আরও পড়ুন, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, ২২জন আয়কর কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাল সিবিআইসি
ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেজাউল শেখ, মামন শেখ, সবুজ শেখ ও দীপু শর্মা নামে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে প্রথম তিন জনের বাড়ি বাংলাদেশের যোগেশগঞ্জে। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ঘটনার মূল চক্রী দীপা।
ঘটনার প্রেক্ষাপটটি হল, অরূপের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করত দীপা। অরূপের মাকে জেঠিমা বলতো সে। কদিন আগে অরূপের মায়ের কাছে অনেক গয়না দেখে , গয়না চেয়েছিলো সে। অরূপের মা মায়াদেবী তা দিয়েও দেন। প্রেমিকের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করে ও পরে সব গয়না লুঠের রেইকি করে। তারপরেই পরিকল্পনামাফিক ডাকাতি করা হয়। পুলিশের জেরায় জানা গিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি দলের এক দুষ্কৃতীও ধরা পড়বে।