Chopra Incident: চোপড়াকাণ্ডে মুখ খুললেন রাজ্যপাল, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে
রাজ্য সরকারের নিন্দায় বললেন, 'আজকাল পশ্চিমবঙ্গের যেদিকে দেখছি সেদিকেই রাস্তায় খুন, রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে। গতকাল যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অমানবিক এক ঘটনা। একজন অসহায় নারীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে'।
চোপড়ায় (Chopra Incident) পরকীয়ার অভিযোগে এক মহিলা এবং এক পুরুষকে রাস্তায় ফেলে যেভাবে মারার ঘটনা ঘটেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শাসন ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী শিবির। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ছেড়ে কথা বলেছে কোন দলই। অবশেষ চোপড়ার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্য সরকারের নিন্দায় বললেন, 'আজকাল পশ্চিমবঙ্গের যেদিকে দেখছি সেদিকেই রাস্তায় খুন, রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে। গতকাল যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অমানবিক এক ঘটনা। একজন অসহায় নারীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে'।
চোপড়ার (Chopra) লক্ষ্মীপুর গ্রামে যখন ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটছিল তখন এলাকায় স্থানীয়দের ভিড় জমলেও পুলিশ কোথায় ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তিনি জানতে চান, সেই সময়ে ওখানে কি কোন পুলিশ ছিল? নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, হ্যাঁ, পুলিশ ছিল। কিন্তু কে পুলিশ আর কে চোর তা বোঝা মুশকিল। পুলিশ বাহিনীর একটি অংশ এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন আনন্দ বোস।
দেখুন...
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণ এবং তরুণী চোপড়ার (Chopra) লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিবাহিতা তরুণী ওই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তা জানতে পেরে গ্রামবাসী সালিশি সভার ডাক দিয়েছিল। আর সেখানেই মারধর করা হয় যুগলের উপর। রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত তাজমুলকে। এলাকায় তিনি জেসিবি নামে পরিচিত। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তিনি। সোমবার মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত জেসিবিকে আপাতত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।