SFI, DYFI: বাম-যুব নেতাদের রাজ্যসরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক

গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিরে বাম- যুব ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান দিয়ে ব্যারিকেড রুখে আক্রমণের চেষ্টার নিন্দা করে এর প্রতিবাদে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলো সিপিএম। আজ কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামেরা। SFI ও DYFI যৌথভাবে ১২ ও ১৩ তারিখ সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল।

ছবিটি বামফ্রন্ট দলীয় পতাকার (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: CPIM will protest on today and Sunday against State Government: গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিরে বাম- যুব ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান দিয়ে ব্যারিকেড রুখে আক্রমণের চেষ্টার নিন্দা করে এর প্রতিবাদে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলো সিপিএম। আজ কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বামেরা। SFI ও DYFI যৌথভাবে ১২ ও ১৩ তারিখ সিঙ্গুর (Singur) থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। রাজ্যের শিল্প ও কর্মসংস্থানের দাবিতে এই অভিযান ছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার হাওড়ার মল্লিকফটক (Howrah Mallick Phatak) এলাকায় পুলিশ বাম যুবকর্মীদের মিছিল আটকাতে গেলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

শুক্রবার আন্দোলনের পর SFI ও DYFI একটি সাংবাদিক বৈঠক করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন SFI ও DYFI নেতারা। দলের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলছে সরকার। মনে রাখবেন, ছাত্র যৌবন মাথা নত করে না। আগুন জ্বাললে গোটা রাজ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে যাবে।’ আজ ও রবিবার রাজ্যজুড়ে 'কালা দিবস' ও বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট। আরও পড়ুন, SFI, DYFI Rally: নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ- বাম আন্দোলনকারীদের ধুন্ধুমার মল্লিক ফটকে, চলল কাঁদানে গ্যাস, জলকামান

এ বার যুব ও ছাত্রদের সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানে সরাসরি ছিলেন না বামফ্রন্টের রাজ্য নেতারা। গোটা কর্মসূচির ভার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ১২টি বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের হাতে। অভিযানের প্রথম দিন সিঙ্গুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত মিছিল করা হয়েছিল। গতকাল তারা নবান্নের দিকে এগোতে গেলে পুলিশের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাধাপ্রাপ্ত হয় বাম যুব সংগঠন। সেখানেই বাধে গন্ডগোল। পুলিশের তরফ থেকে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান। চলে লাঠিচার্জও। বিক্ষোভকারীদের দাবি ঘটনায় প্রায় ১৫০ জন আহত হয়। হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসাধীন। আহত হন SFI ও DYFI নেতা সৃজন ভট্টাচার্য্য (Srijan Bhattacharyya) ও সায়নদীপ মিত্র (Sayandeep Mitra)। কয়েকজন সংবাদকর্মীও আহত হন।

সিপিএম যদি চায় তাহলে কংগ্রেসও রাজ্যের এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে পথে নামতে প্রস্তুত বলে জানান কংগ্রেস নেতারা।