Second Coronavirus Victim in Kolkata: শহর কলকাতার বুকে যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত তরুণ
কলকাতায় (Kolkata) করোনার কোপে ফের লন্ডন ফেরত তরুণ। লন্ডন (London) থেকে ফিরে বিমানবন্দরে তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকেন। পরবর্তী ১৪ দিন বাড়ি থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই কলকাতায় বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন লেক রোডের এই তরুণ। তাঁর শরীরেই শুক্রবার মিলল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ২২ বছরের ওই যুবক।
কলকাতা, ২০ মার্চ: কলকাতায় (Kolkata) করোনার কোপে ফের লন্ডন ফেরত তরুণ। লন্ডন (London) থেকে ফিরে বিমানবন্দরে তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকেন। পরবর্তী ১৪ দিন বাড়ি থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই কলকাতায় বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন লেক রোডের এই তরুণ। তাঁর শরীরেই শুক্রবার মিলল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব। এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ২২ বছরের ওই যুবক।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, লেক রোডের কলকাতার অভিজাত একটি আবাসনের বাসিন্দা তিনি। বাবার বাথরুম ফিটিংসের বিশাল ব্যবসা। একাধিক দোকানের মধ্যে দু’টি রয়েছে কালীঘাট এলাকার এসপি মুখার্জি রোড এবং ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। যে আবাসনে তিনি থাকেন, সেই আবাসনেই ফ্ল্যাট রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক দাপুটে মেয়র পারিষদেরও। আরও পড়ুন, কলকাতায় আরেক লন্ডন ফেরত তরুণের শরীরে মিলল করোনাভাইরাসের হদিশ
কালীঘাট এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ, গত কয়েক দিনে ওই যুবককে বেশ কয়েক বার দেখা গেছে এসপি মুখার্জি রোডের দোকানে। অন্য দিকে আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, আবাসনের সর্বত্রই তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাইরের শপিং মল, রেস্তরাঁতেও গিয়েছেন। অর্থাৎ ১৩ তারিখ ফেরার পর থেকে গতকাল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন এই যুবক।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও লন্ডন ফেরত ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের দেহে মেলে করোনা ভাইরাস। তাঁর বাবা চিকিৎসক ও মা নবান্নের আমলা। এরপরও প্রবল গাফিলতিতে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় এই তরুণ। বেলেঘাটা আইডিতে যেতে বলা হলে তাও যায়নি সে। তাঁর ও পরিবারের ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে, ক্ষুব্ধ হন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।