Mamata Banerjee: 'রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত, হাওয়ালা জৈন কেসে নাম আছে', জগদীপ ধনখরকে তোপ মমতার

আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যপালের, জিটিএ নিয়ে CAG অডিট করানোর উচিত মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন মমতা। জগদীপ ধনখরকে নিশানা করে বলেন,”উনি নিজে একজন বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে কার নাম উল্লেখ ছিল? তারপর কীভাবে পার পেয়েছেন? জিটিএ-র দুর্নীতির কথা বলার আগে উনি কাদের নিয়ে, কত খরচ করে দার্জিলিং গেলেন, রাজভবনে কত খরচ হলো, সেসব নিয়ে তদন্ত হোক।”

জগদীপ ধনখর ও মমতা বন্দোপাধ্যায়

কলকাতা, ২৮ জুন: আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে (Governor Jagdeep Dhankhar) তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্যপালের, জিটিএ নিয়ে CAG অডিট করানোর উচিত মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁকে নিশানা করে বলেন,”উনি নিজে একজন বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের (Hawala Jain Case) চার্জশিটে কার নাম উল্লেখ ছিল? তারপর কীভাবে পার পেয়েছেন? জিটিএ-র দুর্নীতির কথা বলার আগে উনি কাদের নিয়ে, কত খরচ করে দার্জিলিং গেলেন, রাজভবনে কত খরচ হলো, সেসব নিয়ে তদন্ত হোক।”

সাতদিনের পাহাড়সফর শেষে আজ রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জিটিএ-তে (GTA) কোনও নির্বাচন নেই, অডিট হয় না। সেখানে টাকা নয়ছয় হচ্ছে, পাহাড়ের উন্নয়ন ব্যাহত করা হয়েছে। এ নিয়ে CAG অডিট হোক বলে দাবি তোলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতেই রাজ্যপালকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে আক্রমণ করেন মমতা।

আরও পড়ুন, আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ল কার্যত বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘সেই সময়কার এক রিপোর্টার আমাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। হাওড়া জৈন হাওয়ালা মামলায় রাজ্যপালের নামও ছিল। আদালতে গিয়ে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও একটি রিট পিটিশন পড়ে রয়েছে। তাতে ওঁনার নাম রয়েছে।’’

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে কাশ্মীরি জঙ্গি আশফাক হোসেন লোনের গ্রেফতারিতে জৈন হাওয়ালা-কাণ্ড সামনে আসে। তদন্তে জানা যায়, আশফাক হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। দিল্লিতে তাকে জেরা করে জানা যায়, হাওড়ার ব্যবসায়ী সুরেন্দ্রকুমার জৈন এবং তার পরিবার মারফত হিজবুলের কাছে অর্থ সাহায্য যেত। সুরেন্দ্র কুমারকে জেরায় ও তল্লাশিতে বিদেশি মুদ্রা, দু’টি ডায়েরি, একগুচ্ছ নোটবুক উদ্ধার হয়। এই নোটবুকে এলকে আডবাণী ও ধনখরের নাম পাওয়া যায়।