Citizenship Act Protests: হিংসা অব্যাহত থাকলে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাব: রাহুল সিনহা
পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন (President Rule) জারি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, রাজ্যে তৃণমূল (TMC) সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাহুলবাবু বলেন, "নতুন বছরের শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee)। আমরা নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে চাই না। কিন্তু এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা যদি আর কয়েকদিন চলে, তবে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই। ২০২০ শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে।"
কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন (President Rule) জারি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, রাজ্যে তৃণমূল (TMC) সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাহুলবাবু বলেন, "নতুন বছরের শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee)। আমরা নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে চাই না। কিন্তু এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা যদি আর কয়েকদিন চলে, তবে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই। ২০২০ শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে।"
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) গৃহবন্দি দশার মেয়াদ বাড়ানোর সমলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিজেপির তরফে তারও সমালোচনা করা হয়েছে। তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতাতেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি। এদিন রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে আর মমতা ব্যানার্জি কাশ্মীর নিয়ে চিন্তিত। পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় যে তাণ্ডব চলছে তাকে ছাড়া, তাঁর আর সব বিষয় নিয়ে টুইট করার সময় রয়েছে। নিরোও এটা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন!" গতকাল নাগরিক সুরক্ষা আইনের আওতায় ফারুক আবদুল্লার গৃহবন্দি দশার মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হয়। সেই প্রসঙ্গেই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এঘটনা ঘটছে। এটা অসাংবিধানিক।" আরও পড়ুন: Protest In Bengal Against Citizenship Act: রবিবার থেকেই ফেরাতে হবে আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল থেকেই হিংসার ঘটনা ঘটছে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও কৃষ্ণপুরে গতকাল ৪টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে আক্রান্ত হয়েছেন ট্রেনচালক ও রেলকর্মী। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থার প্রতিবাদে পাল্টা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ২ জায়গা থেকে এই মিছিল বের হবে। একইসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে এক আবেদন বার্তায় বলা হয়েছে, "আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োজনে প্রয়োগ করুন। তবে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।"
এই পরিস্থিতি কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনে পরামর্শ দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, আইন হাতে তুলে নিলে সরকার তা বরদাস্ত করবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারদের (Police Super) সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র (Virendra )। রবিবারের মধ্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সুপারদের তাঁর নির্দেশ, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করলে অসুবিধা নেই। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত গ্ৰেফতার করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি যারা ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে নতুন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে সব জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।