Hoogly: বিষ্ণু হত্যাকাণ্ডে অবশেষে বিচার পেল পরিবার, সাত অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল চুঁচুড়া আদালত

২০২০ সালে ত্রিকোণ প্রেমের কারণে মৃত্যু হয়ছিল বিষ্ণু মাল। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহকে সাতটি খণ্ডে বিভক্ত করে শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেহাংশ।

২০২০ সালে ত্রিকোণ প্রেমের কারণে মৃত্যু হয়ছিল বিষ্ণু মাল (Bishnu Mal)। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহকে সাতটি খণ্ডে বিভক্ত করে শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেহাংশ। এই দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটেছিল পুলিশের। প্রায় ২০দিন পর উদ্ধার হয় সেগুলি। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিশাল সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার মামলা বিগত চার বছর ধরে চলছিল চুঁচুড়া আদালতে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই মামলার সাজা শোনালেন বিচারক। জানালেন ঘটনাটি বিরলতম নৃশংস ঘটনা। এই শাস্তি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর চুঁচুড়ার রায়ের-বেড় এলাকা থেকে অপহরণ করেন বিশাল ও তাঁর সহযোগীরা। আসলে বিষ্ণু একটি মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই ভালোবাসত। তবে ওই এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীর নজর পড়ে ওই সম্পর্কে। মেয়েটি সে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা ফিরিয়ে দেয়। আর সেই রাগেই বিষ্ণুকে অপহরণ করে বিশাল। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, প্রথমে বিষ্ণুকে চাঁপদানি এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়। পরে দেহ লোপাটের জন্য মুরগি কাটার চপার দিয়ে ছয়টি ভাগে কাটা হয়। এমনকী সেই সময়ের ছবিও তোলা হয় বলে জানা যায়। এরপর দেহাংশগুলি শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পর জানায়, বিষ্ণুর কাণ্ডা মুণ্ডু সামনে রেখে সারারাত জেগেছিল বিশাল। পরে ওই অংশটি সে নিজে প্যাকেটে মুড়ে সাইকেলে করে নিয়ে যায় এবং বৈদ্যবাটি খালের ধারে ফেলে আসে। যদিও এই কথা সেই সময় তাঁর সাগরেতরা জানত না। পরে বিশালকে গ্রেফতার করা হলে জেরার পর সে স্বীকার করে। এই ঘটনায় চার বছর পর সাতজনকে ফাঁসির সাজা শোনায়। এবং একজন রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে তাঁকে সাতবছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আজ অবশেষে ফাঁসির সাজা শোনানোর পর সুবিচার পেয়ে আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিষ্ণু মালের পরিবার।