আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করা যাবে না, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
আগেই গ্রেপ্তারির হাত থেকে স্বস্তি দিয়েছিলে দিল্লি হাইকোর্ট। এবার কলকাতা হাইকোর্ট ও হাঁটল একই পথে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারি থেকে রেহাই পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মামলাটি খারিজ করে দেন।
কলকাতা, ৭ আগস্ট: আগেই গ্রেপ্তারির হাত থেকে স্বস্তি দিয়েছিলে দিল্লি হাইকোর্ট। এবার কলকাতা হাইকোর্ট ও হাঁটল একই পথে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারি থেকে রেহাই পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মামলাটি খারিজ করে দেন। বড়বাজার থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিয়োগ জমা পড়লে তদন্তে নামে পুলিশ ব্যাংকশাল কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। তারপর বেশ কয়েকটি মাস কেটে গিয়েছে যতবার মামলার শুনানি হয়েছে ততবার এই বিজেপি নেতাকে কোর্টে হাজিরার নির্দেশ পাঠালেও মুকুল রায় শুনানির দিন অনুপস্থিত-ই থেকে গিয়েছেন বরাবর। আরও পড়ুন-মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে তো, মেনে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
এদিকে বার বার আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ব্যাংকশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। এবং একমাসের মধ্যে নির্দেশ কার্যকরী করার কথাও জানিয়ে দেন। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মুকুল রায়। আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এই বিজেপি নেতা এখন রাজধানীতেই থাকেন। গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় মুকুল রায়কে দশদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এমনকী জেরা করতে হলে তদন্তকারী দলকে দিল্লি আসতে হবে। তখন মুকুল রায়কে সহযোগিতা করতেই হবে। যাইহোক বিপদ টের পেয়ে আগেভাগেই কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করে বসেন মুকুলবাবু। এদিন তার শুনানিতেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানিয়ে দেন রক্ষাকবচ কার্যকর হয়েছে পুলিশ কোনওভাবেই মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। বড়বাজার থানার পুলিশ চাইলে দিল্লি গিয়ে মুকুলবাবুকে জেরা করেত পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকেই কার্যকর করে ফেলল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই খবরে বিজেপি শিবিরে স্বস্তির শ্বাস। রক্ষাকবচ চালু হতেই তৃণমূলকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন মুকুলবাবু। তাঁর দাবি, হাটে হাঁড়ি বাঙার ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জেলে পুরতে চাইছেন। তাঁকে ভয় পাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে নেত্রীর ইচ্ছে তো আর পূরণ হওয়ার নয়।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)