বর্ধমান থাকবে বর্ধমানেই- স্টেশনের নাম বদলে 'বটুকেশ্বর' নয়, জানাল কেন্দ্র

নাম বদলে বটুকেশ্বর দত্ত হচ্ছে না বর্ধমান স্টেশন। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। দিল্লির সরকারের তরফে আসা এই আশ্বাসবাণীই আপাতত নাম বদলের ফাঁড়া থেকে বর্ধমান স্টেশনের মুক্তি ঘটালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রতীকী ছবি। (Photo Credits: Youtube/Screengrab)

বর্ধমান, ৩০ জুলাই: নাম বদলে বটুকেশ্বর দত্ত হচ্ছে না বর্ধমান স্টেশন। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। দিল্লির সরকারের তরফে আসা এই আশ্বাসবাণীই আপাতত নাম বদলের ফাঁড়া থেকে বর্ধমান স্টেশনের মুক্তি ঘটালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বর্ধমান স্টেশনের নাম বদলের বিষয়টি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেছিলেন, বর্ধমান স্টেশনের নাম বদলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তের নামে রাখা হবে। তার পর থেকেই শুরু হয় নামবদল নিয়ে বিতর্ক। এর পরে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বর্ধমান স্টেশনের নাম বদলানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই। আরও পড়ুন-জরায়ু নয় লিভার পাকস্থলির মাঝে বাড়ছিল শিশু, এমন কী করে ঘটল?

এই প্রসঙ্গে ভারত সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, কোনও রেল স্টেশনের নাম বদলের অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতেই। কোনও প্রস্তাব এলে সেটা বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রস্তাবই আসেনি। কোনও স্টেশনের নাম পরিবর্তন করতে হলে সেই প্রস্তাব আনে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। তবে সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাবের সঙ্গে রেলমন্ত্রক থেকে ডাক বিভাগ, অনেকের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট লাগে।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া। বর্ধমান নামটির সঙ্গে গোটা বঙ্গবাসীর পরিচয় সেই কবে থেকে। ব্রিটিশরাজ শুরু হওয়ার অনেক আগেই বর্ধমানের জন্ম। আচমকা সেখানকার নাম বটুকেশ্বর হয়ে গেলে শুধু কানে শুনতে কেমন লাগবে তাই নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায় বর্ধমান বর্ধমানেই গ্রহণযোগ্যতা পায়, বটুকেশ্বরে নয়। নাম বদল হলে স্থানীয়রাই সব থেকে বেশি ক্ষুব্ধ হতেন। তাই খবরটি শোনার পর থেকেই জনমত নির্বিশেষ ক্ষোভ জমছিল। শুধু বটুকেশ্বরেই নয়, শিয়ালদার মতো জনবহুল স্টেশনের নাম নাকি শ্যামাপ্রসাদ মুখুজ্জে হবে। এই খবর ছড়াতেই বিষ্ময় অসন্তোষের চেহারা নেয়। যখন জানা যায়, যতই অসন্তোষ থাকুক নাম বদল হচ্ছেই, তখন বিষয়টি নিয়ে বঙ্গবাসী আর মাথা ঘামায়নি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নাম বদল সংক্রান্ত বিষয়টিকে ভুলে যেতে চেয়েছে। তবে ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ ধিক ধিক জ্বলছিল। নাম বদল নিয়ে কেন্দ্রের আজকের সিদ্ধান্ত সেই ক্ষোভের আগুনে জল দিল বলতে পারেন।