BSF Driver Tests COVID-19 Positive: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে নিয়ে যাওয়া বিএসএফ ড্রাইভার

শ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে নিয়ে যাওয়া সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) একজন চালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সোমবার জানা যায়। ৩০ শে এপ্রিল কোভিড-১৯ সম্পর্কিত লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে তার কর্তব্য থেকে অপসারণ করা হয়। তার নমুনা পরীক্ষা করার পরে পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

Representational Image | (Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ৪ মে: পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (IMCT Members) দলকে নিয়ে যাওয়া সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) (BSF driver) একজন চালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সোমবার জানা যায়। ৩০ শে এপ্রিল কোভিড-১৯ সম্পর্কিত লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে তার কর্তব্য থেকে অপসারণ করা হয়। তার নমুনা পরীক্ষা করার পরে পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

সংবাদ সংস্থা ANI -র খবর অনুযায়ী, বিএসএফ সূত্র জানিয়েছে, "বিএসএফ চালক যিনি কোভিড-19-এ আক্রান্ত তারা একটি এসকর্ট গাড়িতে ছিলেন তাই আইএমসিটি দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সম্ভাবনা খুব কম।" আইএমসিটি গত দু' সপ্তাহ ধরে বাংলার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পরিদর্শন করে। পরে কেন্দ্রের কাছে তার প্রতিবেদন জমা দেয়। দু’সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কেন্দ্রের আন্ত:মন্ত্রক দলটি। আরও পড়ুন, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,২৫৯, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের

সোমবার রাজ্য ছাড়ার আগে সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন দলের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আন্ত:মন্ত্রক দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা কতজন মারা গিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পেশ করছে না রাজ্য সরকার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লুকানো হচ্ছে। চিঠিতে এমনটাই দাবি করে আন্ত:মন্ত্রক দলটি।

পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে সেভাবে সহযোগিতা মেলেনি বলে দাবি করা হয় চিঠিতে। পাশাপাশি রাজ্যে ৩০ এপ্রিল বুলেটিন থেকে স্পষ্ট যে, রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা স্পষ্ট করছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। রাজ্যে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,২৫৯। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৬১ জনের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। রাজ্যের তরফে সোমবার এই তথ্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।



@endif