West Bengal: 'দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়', রাজ্যে লাগাতার নারী নির্যাতনের ঘটনায় মমতার শাসনকে 'কাঠগড়ায়' তুললেন নাড্ডা
রাজ্যে যে ভাবে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তাতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে কার্যত এই ভাষাতেই দুষলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শাসনে পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্যে 'সুরক্ষিত' নয়। রাজ্যে যে ভাবে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তাতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে কার্যত এই ভাষাতেই দুষলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
দিন কয়েক আগেই কোচবিহারে (Cooch Behar) দলের সংখ্যালঘু মোর্চার এক নেত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির মহিলা মোর্চার সাত সদস্যের দল কোচবিহারে গিয়ে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনার ছায়া উত্তর দিনাজপুরেও (Uttar Dinajpur)। এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারছে এক ব্যক্তি। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তোয়াক্কা না করেই চলছে মার। মহিলা একা নন, একই সঙ্গে পেটানো হচ্ছে এক যুবককেও। স্থানীয়রা রাস্তার মাঝে তাঁদের গোল করে ঘিরে রেখেছেন। মারমুখী ওই পুরুষকে থামানোর চেষ্টা বিশেষ কেউ করছে না। চোপড়ার (Chopra) ঘটনার একটি ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসে। তার পর থেকেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম তাজমুল। এলাকায় তিনি জেসিবি নামে পরিচিত। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তিনি। রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো বা স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণ এবং তরুণী চোপড়ার (Chopra) লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিবাহিতা তরুণী ওই যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তা জানতে পেরে গ্রামবাসী সালিশি সভার ডাক দিয়েছিল। আর সেখানেই মারধর করা হয় যুগলের উপর।
নাড্ডার টুইট...
চোপড়ার ঘটনার নিন্দা করে বিজেপি সভাপতি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যা শুধুমাত্র ধর্মশাস্ত্রে বিদ্যমান বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দেয়'। রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর আরও সংযোজন, 'সন্দেশখালি, উত্তর দিনাজপুর বা অন্য যে কোন জায়গাই হোক, দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।