BJP MP Swapan Dasgupta:'বিশ্বভারতীতে দাঙ্গাবাজের জায়গা নেই', স্লোগান তুলে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও পড়ুয়াদের(দেখুন ভিডিও)
ফের ধর্মীয় মেরুকরণে গুরুদেবের পুণ্যভূমিকে রাঙাতে চাইল কেন্দ্রের সরকার। তবে ছাত্র যুব যখন সরব তখন তো এসব বেশিক্ষণ চলতে পারে না। কবিগুরু তো সেই কবে মরা গাঙে নাও ভাসাতে বলে গিয়েছেন। লাল মাটিতে দাঁড়িয়ে তা কী করে ভুলবে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ছাত্র সমাজ? তাইতো সংশোধিত নাগরিকত্ব নিয়ে যে আলোচনার আয়োজন এদিন লীপিকা প্রেক্ষাগৃহে করা হয়েছিল। তা ছাত্র, কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশের বিরোধিতায় সম্ভব হয়নি। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (BJP MP Swapan Dasgupta) এসেছিলেন, তাঁর গাড়ি দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা।
শান্তিনিকেতন, ৮ জানুয়ারি: ফের ধর্মীয় মেরুকরণে গুরুদেবের পুণ্যভূমিকে রাঙাতে চাইল কেন্দ্রের সরকার। তবে ছাত্র যুব যখন সরব তখন তো এসব বেশিক্ষণ চলতে পারে না। কবিগুরু তো সেই কবে মরা গাঙে নাও ভাসাতে বলে গিয়েছেন। লাল মাটিতে দাঁড়িয়ে তা কী করে ভুলবে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ছাত্র সমাজ? তাইতো সংশোধিত নাগরিকত্ব নিয়ে যে আলোচনার আয়োজন এদিন লীপিকা প্রেক্ষাগৃহে করা হয়েছিল। তা ছাত্র, কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশের বিরোধিতায় সম্ভব হয়নি। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (BJP MP Swapan Dasgupta) এসেছিলেন, তাঁর গাড়ি দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। স্বপনবাবুকে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। তারপর বিক্ষোভ এড়াতে বদলে যায় আলোচনা স্থল।
শ্রীনিকেতনের সোশ্যাল ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টে যান অতিথি অভ্যাগতরা। ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক বিপ্লব লোহ চৌধুরি। বন্ধ ঘরে আলোচনা চললেও বাইরে সমান তালে চলছে বিক্ষোভ। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে এখনও সেখানে আটকে আছেন বিজেপি সাংসদ। গুরুদেব নিজে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে পথে নেমেছিলেন। রাখি পরিয়ে শুরু করেছিলেন এক অন্যরকম আন্দোলন। তবে কয়েকজন স্বনামধন্য বাঙালির চতুর কার্যকলাপে গুরুদেবের সেই আশা সফল হয়নি। ব্রিটিশ বাংলাকে দুভাগে ভাগ করে দেয়। ফের একবার ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগির আয়োজন হয়েছে। এনআরসি ও সংশধিত নানগরিকত্ব আইনের আড়ালে চলছে তারই আয়োজন। গোটা দেশের ছাত্রসমাজ এই ঘটনার বিরোধিতায় মুখর, বিশ্বভারতীর মতো শিক্ষাঙ্গন কেন তা থেকে পিছিয়ে থাকবে বলুন তো। ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন আশ্রমিকরা। হতবাক অধ্যাপকদের একাংশ। আরও পড়ুন-
দুদিন আগে জেএনইউ-তে এতবড় হামলা চলল তার প্রতিবাদে কিছু হল না। উল্টে ছাত্রদের মাথা চিবিয়ে খেতে এসেছেন বিজেপি সাংসদ। আমরা বেঁচে থাকতে তা হতে দেব না। স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন আশ্রমিকরা। সিএএ ও এনআরসি-র সমর্থনে নেই বিশ্বভারতী, এটা গোটা দেশ জানুক।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)