Asansol Stampede: আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর জের, উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি সভায় কম্বল বিতরণ করা হচ্ছিল। শুভেন্দু ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই কম্বল নেওয়ার জন্য ঠেলাঠেলি লেগে যায় সেখানে উপস্থিত হওয়া মানুষদের মধ্যে। এর ফলে তিন জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান।

জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও শুভেন্দু অধিকারী (Photo Credits: ANI/FB)

কলকাতা: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে (Assansol) পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা (West Bengal's LOP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) একটি সভায় কম্বল বিতরণ (blanket distribution) করা হচ্ছিল। শুভেন্দু ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই কম্বল নেওয়ার জন্য ঠেলাঠেলি লেগে যায় সেখানে উপস্থিত হওয়া মানুষদের মধ্যে। এর ফলে তিন জন পদপিষ্ট (stampede) হয়ে মারা যান।

শনিবার সেই ঘটনার জেরে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে (Yamuna Expressway) থেকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Former Asansol mayor & BJP leader Jitendra Tiwari) গ্রেফতার (arrest) করল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের (Asansol Durgapur Commissionerate) পুলিশ। আর তারপরই এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (West Bengal BJP President Sukanta Majumdar) ।

এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এটা একটা রাজনৈতিক চাল (political stunt)। যারা শিক্ষকদের চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এদিকে বাংলার পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গিয়ে মানুষকে গ্রেফতার করছে। আগে তাদের নিজেদের রাজ্যের দিকে তাকানো উচিত।"

এরপরই মৃতদের পরিবারকে তৃণমূল উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। এপ্রসঙ্গে বলেন, "তিন জন মানুষ বিতরণ করা কম্বল নিতে এসে মারা গেছিলেন। কিন্তু, তারপর কী করে তাঁদের পরিবার এত বড় লোক হয়ে গেল যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার জন্য পয়সা দিয়ে আইনজীবী জোগাড় করছে। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আসলে মমতা ব্যানার্জি জনসমর্থন হারানোর ভয়ে এইসব কাজকর্ম করছেন।"