Attack On Visva Bharati Students: জেএনইউ-র ছায়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে, হোস্টেলের বাইরে ছাত্রদের রড-লাঠি দিয়ে মার বিজেপির
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) বিজেপির (BJP) হামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে হোস্টেলের বাইরে অর্থনীতির ছাত্র স্বপ্ননীল মুখার্জি, সাঁওতালি ভাষা বিভাগের ছাত্র দেবব্রত নাথ সহ আরও অনেককে বিজেপির গুন্ডারা (BJP Goons) নৃশংসভাবে মারে বলে জানায় আহত ছাত্ররা। তারা গুরুতরভাবে আহত হয়। তাদেরকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ছাত্রছাত্রীরা হামলাকারীদের মধ্যে ৩ জনকে চিহ্নিত করেছে। তারা বিজেপির সমর্থক বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানান তারা।
বোলপুর, ১৬ জানুয়ারি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) বিজেপির (BJP) হামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে হোস্টেলের বাইরে অর্থনীতির ছাত্র স্বপ্ননীল মুখার্জি, সাঁওতালি ভাষা বিভাগের ছাত্র দেবব্রত নাথ সহ আরও অনেককে বিজেপির গুন্ডারা (BJP Goons) নৃশংসভাবে মারে বলে জানায় আহত ছাত্ররা। তারা গুরুতরভাবে আহত হয়। তাদেরকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ছাত্রছাত্রীরা হামলাকারীদের মধ্যে ৩ জনকে চিহ্নিত করেছে। তারা বিজেপির সমর্থক বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানায় তারা।
আহতদের মধ্যে একজন স্বপ্ননীল জানায়, বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তন ছাত্র অচিন্ত বাগদি, সে এই হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছিল। এর আগে সে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিল। এখন সে দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তিনি উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলেও জানিয়েছেন স্বপ্ননীল। তারা আরও জানিয়েছে, কাল রাতে অচিন্ত বিজেপির আরও দুই গুন্ডাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে। তাদের নাম সাব্বির আলী বসাক এবং সুলভ কর্মকার। রড এবং উইকেট ষ্টাম্প নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। উপাচার্যের গাড়ি অনুসরণ করে তারা ভিতরে ঢোকে বলে দাবি ছাত্রদের। আরও পড়ুন, ‘সরকার ভেঙে দেখাক কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর বৈঠকে যাচ্ছি না’, বললেন মমতা ব্যানার্জি
বিজেপি রাজ্য সভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) সিএএ নিয়ে বক্তৃতা দিতে আসলে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁকে অনেকক্ষণ সেখানে আটকে রাখা হয়। এর ফলে রেগে যান উপাচার্য। অচিন্ত বাগদি তার দলবল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সিনিয়র বয়েজ হোস্টেলে অভিযান চালায়। বিশেষত সেসব শিক্ষার্থীদের যারা এই বিক্ষোভে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল তাদের খুঁজে বের করা হয়। তারা ছাত্রদের হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে, জিজ্ঞাসা করে যে তারা ৮ জানুয়ারী ছাত্রদের ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিল কিনা এবং স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও করেছিল কিনা। এই বিষয়ে আহত ছাত্ররা উপাচার্যকে দায়ী করে এবং শীঘ্রই তাঁর পদত্যাগের দাবি জানায়।