বেহালা সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের পুরোহিতের রহস্যমৃত্যু, বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ, খুনের অভিযোগ আনলেন স্ত্রী
বেহালায় ফের রহস্যমৃত্যু। গতকাল পর্ণশ্রীতে মেয়ে-জামাইয়ের হাতে মহিলার খুন হওয়ার অভিযোগের ঘটনার পর, আজ সোমবার বেহালা সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিতের রহস্যমৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত পুরোহিতের নাম সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (৪৭)। পুরোহিতের রহস্যমৃত্যুতে যোগ হয়েছে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক। পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বান্ধবীর বাড়ি থেকে।
কলকাতা, ২৬ অগাস্ট: Behala Murder: বেহালায় ফের রহস্যমৃত্যু। গতকাল পর্ণশ্রীতে মেয়ে-জামাইয়ের হাতে মহিলার খুন হওয়ার অভিযোগের ঘটনার পর আজ বেহালা সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের পুরোহিতের রহস্যমৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত পুরোহিতের নাম সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (৪৭)। পুরোহিতের রহস্যমৃত্যুতে যোগ হয়েছে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক। পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হল তাঁর বান্ধবীর পর্ণশ্রী রবীন্দ্রনগরের বাড়ি থেকে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য মাঝে মধ্যেই রাত কাটাতেন অন্য এক মহিলার বাড়িতে। সেই মহিলার আবার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। রবিবার রাতে বান্ধবীর ফোন পেয়ে তার বাড়িতে যান সিদ্ধার্থ।
তারপরই সিদ্ধার্থের মৃত্য়ুর খবর পান তার বাড়ির লোকেরা। অন্তত এমনটাই দাবি, সিদ্ধার্থের স্ত্রী গৌতমী ভট্টাচার্যের। দুই ছেলে এবং স্ত্রী গৌতমীর সঙ্গে সিদ্ধার্থবাবু বেহালার ১৬২/১ ব্রাহ্মসমাজ রোডে থাকেন। আর তাঁর বান্ধবী ঝুমা রায়ের বাড়ি পর্ণশ্রীর রবীন্দ্রনগরে। ঝুমাদেবীর স্বামীর বাড়িতে থাকেন না। আরও পড়ুন-Behala Murder: মা-কে খুন করে চাদরে জড়িয়ে রাস্তায় ফেলে দিল মেয়ে-জামাই!
অন্যদিকে, সিদ্ধার্থের বান্ধবী- ঝুমার দাবি তাঁর ছোটো ছেলে সিদ্ধার্থের ঔরসজাত। সিদ্ধার্থের স্ত্রী গৌতমীর দাবি, সিদ্ধার্থকে খুন করেছেন ঝুমা ও তাঁর ছেলে।
সিদ্ধার্থের বান্ধবী ঝুমার দাবি, সিদ্ধার্থ রাতে বাড়িতে আসার পর ছোটো ছেলেকে নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই বচসার পর মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন। পরে ঘরে গিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে দেন সিদ্ধার্থ। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, অবশেষে পর্দা ফাঁস হলো বেহালা পর্ণশ্রী মহিলা খুনের। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাতে শম্পাদেবীর মেয়ে- জামাই মিলেই খুন করেছে শম্পাদেবীকে। তাঁর দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে তারা। লোপাট করতে না পেরে দেহ সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। খুনের ঘটনায় মেয়ে- জামাইকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মহিলার স্বামীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক প্রতিবেশী জানান, ঘটনার দিন রাত তিনটে নাগাদ জোরালো কিছু আওয়াজ পান। বাইরে বেড়িয়ে তিনি দেখেন ফ্ল্যাটের গ্যারাজ খোলার চেষ্টা করছে শম্পা চক্রবর্তীর মেয়ে ও জামাই। চাদর জড়ানো একটি বোচকা নিয়ে সাইকেলে তোলার পর কিছুটা দূরে যেতেই সাইকেলটি উল্টে পড়ে যায়। এরপর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। মহিলার মেয়ে তখন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। ফোন করতেও দেখা যায় তাকে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)