TMC Leader Murder: বহরমপুরে ভরদুপুরে চলল গুলি, খুন তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীর, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক
সত্যেনকে তাক করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালায় তাঁরা। গুলির বিকট শব্দে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক।
TMC Leader Murder: ভরদুপুরে প্রকাশ্যে চলল একের পর এক গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বহরমপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন তৃণমূল নেতা তথা জেলার সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীর (TMC Leader Satyan Chowdhury)। রবিবার দুপুরে বহরমপুরের (Baharampur) ভাকুড়ি মোড়ে শুট আউটের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, দুপুরে ভাকুড়ি মোড়ে এক নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাসক দলের নেতা সত্যেন (Satyan Chowdhury)। এমন সময়ে দুটি বাইকে করে তিনজন দুষ্কৃতী আসে সেখানে। সত্যেনকে তাক করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালায় তাঁরা। গুলির বিকট শব্দে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক। ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীর দল। গুলিবিদ্ধ সত্যেনকে সকলে মিলে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান সত্যেন চৌধুরী।
জানা গিয়েছে, একদা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chaudhary) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন সত্যেন। এমনকি বাম আমলে অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকবার হাজতবাসও করেছেন তিনি। তবে রাজ্যে পালাবদলের পর অধীরের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য দেখা দেয় ধীরে ধীরে। পরবর্তীকালে সত্যেন যোগ দেন তৃণমূলে (TMC)। হালে রাজনীতিতে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যেত না তাঁকে। জেলার সাধারণ সম্পাদকের খুনের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। এই খুনের পিছনে কে বা কারা রয়েছে? কী উদ্দেশ্যেই বা রয়েছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।