Tapas Pal’s Funeral: বুধবার রবীন্দ্রসদন টলিপাড়া ঘুরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাপস পালের শেষকৃত্য, মুখ্যমন্ত্রী কি থাকছেন?

মঙ্গলবার রাতে মুম্বই থেকে কলকাতায় পৌঁছেছে অভিনেতা তাপস পালের (Tapas Pal) মৃতদেহ। আজ বুধবার শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেহ রাখা হবে রবীন্দ্রসদনে। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসে তাপস মালেদ দেহ। সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গল্‌ফ ক্লাব এলাকায় তাঁর বাসভবনে। রাতে দেহ থাকে মধ্য কলকাতার পিস হেভেনে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে শেষ শ্রদ্ধার জন্য তিনি ঘণ্টার জন্য দেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে। নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়াতেও। পরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শেষকৃত্যে মমতা ব্যানার্জি থাকবেন কি না তানিয়ে এখনও মুখ খোলেনি তৃণণূল নেতৃত্ব।

তাপস পাল (Photo: Facebook)

কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবার রাতে মুম্বই থেকে কলকাতায় পৌঁছেছে অভিনেতা তাপস পালের (Tapas Pal) মৃতদেহ। আজ বুধবার শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেহ রাখা হবে রবীন্দ্রসদনে। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসে তাপস মালেদ দেহ। সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গল্‌ফ ক্লাব এলাকায় তাঁর বাসভবনে। রাতে দেহ থাকে মধ্য কলকাতার পিস হেভেনে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে শেষ শ্রদ্ধার জন্য তিনি ঘণ্টার জন্য দেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে। নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়াতেও। পরে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শেষকৃত্যে মমতা ব্যানার্জি থাকবেন কি না তানিয়ে এখনও মুখ খোলেনি তৃণণূল নেতৃত্ব।

রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই-এর হেফাজতে ওড়িশায় জেলবন্দি ছিলেন তাপস পাল। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জামিন পাওয়ার সাময়ও হাসপাতালেই ছিলেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। সোমবার তাঁর কলকাতা ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু মুম্বই বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার ভোরে ৩.৩৫ মিনিটে মারা যান অভিনেতা। সশরীরে আর কলকাতায় ফিরতে পারলেন না বাঙালির কেদার।  আরও পড়ুন-Jammu And Kashmir: পুলওয়ামায় এনকাউন্টার, সেনার গুলিতে নিকেশ ৩ জঙ্গি

অভিনয় জীবনের সাফল্য ফিরে দেখার মতো। তবুও তিনি একজন অভিনেতা যিনি এই ক্ষুদ্র জীবনে একই সঙ্গে নাটক, সিনেমা, যাত্রা, রাজনীতি সবই করলেন। সাফল্যের স্বাদ যেমন তাঁকে সম্মানে ভরিয়ে দিয়েছে। ব্যর্থতা ও প্রগলভতা তাঁকে নিচে নামাতে মুহূর্ত ভাবেনি। একটা মাত্র মন্তব্যেই কেদারের সরলতা ভুলে বাঙালি সমালোচনা ও ধিক্কারে ভরিয়ে দিয়েছিল তাপস পালের চলার পথ। সেই মানসিক যন্ত্রণায় নতুন কাঁটার মতো এসেছিল রোজভ্যালি কাণ্ড। প্রথমে জেল পরে অসুস্থতা, খারাপ দিন একেবারে ওঁত পেতে বসেছিল। অভিনেতা তাপসের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহ অভিনেতারা। চিরঞ্জিৎ যেমন ভাই হারিয়েছেন। পায়েল তেমন অভিভাবক। প্রসেনজিৎ মনে করেন অনেক বড় অভিনেতা তাপস পাল, রচনার মতে উত্তমকুমারের পরে তাঁকেই রাখা যায়। আর সন্ধ্যা রায় তো সন্তান হারা হলেন।