West Bengal Weather Update: গ্রহণের ঘায়ে বেসামাল শীত, বর্ষবরণের আগে বৃষ্টিতে নাকাল বঙ্গবাসী

একে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ তাই আকাশজুড়ে মেঘ করেছে। ২৬ ডিসেম্বরের সকালটাই যেন মন খারাপের সঙ্গ নিয়ে শুরু হল। ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে, ততই অন্ধকারে ডুবেছে চতুর্দিক। বেলা দশটা বাজতেই নামল বৃষ্টি (Rain), বেলা দ্বিপ্রহরের দিকে এগোলেও বৃষ্টি বন্ধ নেই। কলকাতায় পারদ স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি উপরে থাকলেও গোটা দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। কলকাতা (Kolkata) লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বছর শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তার দৌড় বেশিদূর নয়, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুরের হাওয়া অফিস।

প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর: একে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ তাই আকাশজুড়ে মেঘ করেছে। ২৬ ডিসেম্বরের সকালটাই যেন মন খারাপের সঙ্গ নিয়ে শুরু হল। ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে, ততই অন্ধকারে ডুবেছে চতুর্দিক। বেলা দশটা বাজতেই নামল বৃষ্টি (Rain), বেলা দ্বিপ্রহরের দিকে এগোলেও বৃষ্টি বন্ধ নেই। কলকাতায় পারদ স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি উপরে থাকলেও গোটা দক্ষিণবঙ্গে কিন্তু জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। কলকাতা (Kolkata) লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বছর শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তার দৌড় বেশিদূর নয়, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। তবে যেহেতু পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জের তাই রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে আজ।

ঝাড়খণ্ডে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় কোনও প্রভাব ফেলবে না এই বৃষ্টি। সেখানে যেমন জমিয়ে ঠান্ডা পড়ছে তেমনই পড়বে। শনিবার থেকে কলকাতা-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙেগে ফের তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নামবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে কুয়াশা ও মেঘের বদান্যতায় দৃশ্যমানতা কমেছে। সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে হাওয়া। তাই কনকনে ঠান্ডাটা রয়েই গিয়েছে। আরও পড়ুন-Solar Eclipse 2019: বর্ষ শেষের খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ, আঁধারে ঢাকল পশ্চিমবঙ্গ(দেখুন ভিডিও)

এদিন আবার বছর শেষের খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণের জেরে সকাল থেকেই বরুণ দেবের মুখ দেখা যায়নি। বেলা বাড়তে গ্রহণ কাটলেও সূর্য রইল অন্তরালেই। অন্তত সকাল নটা পর্যন্ত গ্রহণ দেখা গেল মেঘ-কুয়াশার আস্তরণের মাঝখান দিয়ে। খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে তেমন উন্মাদনা দেখা যায় না, তবে এখনও সকাল বেলা গ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেজে ওঠে শাঁখ, অনেকেই গ্রহণের সময় কোনও রকম খাবার খান না। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। সাধরণত খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা যায় না সূর্যের তেজের জন্যই। আজ যদিও মেঘ ও বৃষ্টির মেলবন্ধনে সেই তেজ উধাও। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে ডিসেম্বরের নয় আগস্টের বর্ষণমুখর দিন আজ। তিরুবনন্তপুরমের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে এলইডি স্ক্রিন থেকে শুরু করে, পিনহোল ক‌্যামেরা, সোলার ফিল্টার-সহ যাবতীয় সামগ্রীর আয়োজন করা হয়েছে। তবে বলয়গ্রাসের পথ থেকে যত উত্তরে বা দক্ষিণে যাওয়া হবে, তত সূর্যের কম অংশকে গ্রহণ হিসাবে ঢাকা পড়তে দেখা যাবে। কলকাতাও এই তালিকাতেই পড়েছে।



@endif