Hoogly: জেল ফেরত স্বামী জেনে ফেলেছিল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা, সাত সকালে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন হতে হল এক ব্যক্তিকে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দেবানন্দপুরের দক্ষিণ নলডাঙা এলাকায় সৃজনি পল্লীতে।

Representational Image (Photo Credit: X)

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন হতে হল এক ব্যক্তিকে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hoogly) দেবানন্দপুরের দক্ষিণ নলডাঙা এলাকায় সৃজনি পল্লীতে। জানা যাচ্ছে, এদিন কাকভোরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম ওই এলাকায় একটি মাঠে দেহটি দেখতে পান। তারপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই মৃতদেহ। মৃতের দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও মাথা ছিল থেঁতলানো। মৃত ব্যক্তির নাম রমেশ মুদালিয়া (৩৮)। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে স্ত্রীর হাতেই খুন হতে হয়েছে ওই ব্যক্তি।

পুলিশসূত্রে খবর, মাদক মামলায় বেশ অনেকদিন আগেই জেলে গিয়েছিল রমেশ। মাস দেড়েক আগে ছাড়া পান তিনি। জেল থেকে ফিরে এসে জানতে পারে যে তাঁর স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এই নিয়ে প্রায়শই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন গতকালও দুজনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছে। তারপরেই আজ সকালে রমেশের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতের স্ত্রী ভারতী ও তাঁর শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া মহিলা যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁকেও খোঁজার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

রমেশের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রমেশ ও ভারতীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি ৮ বছরের ছেলেও রয়েছে। সম্প্রতি যখন রমেশ মাদক মামলায় জেলে গিয়েছিল তখন থেকেই একটি যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। এই নিয়েই রমেশের পরিবার আগেও সাবধান করেছিল, কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ভারতী। পুলিশের অনুমান, গতকাল পরিকল্পনামাফিক রমেশকে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী।



@endif