Bankura: কাজে যোগ না দেওয়া, গাফিলতির অভিযোগ; সাসপেন্ড বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজের ৩০ জন হাউসস্টাফ

কাজে গাফিলতি ও বিনা নোটিসে দিনের পর দিন কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Bankura Sammilani Medical College) ২৬ জন হাউসস্টাফকে (House staff ) সাসপেন্ড করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরেই তাঁদের হাতে সাসপেন্ডের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান (Partha Pratim Pradhan)। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় গত প্রায় ২ মাস ধরে এই হাউস স্টাফরা ঠিকমতো কাজ করছিলেন না। বারেবারে সতর্ক করাও হয়। এরপরও চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে কেউ কাজে যোগ দেননি টানা তিনদিন। তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (Photo: Wikimedia Commons)

বাঁকুড়া, ৪ মে: কাজে গাফিলতি ও বিনা নোটিসে দিনের পর দিন কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Bankura Sammilani Medical College) ২৬ জন হাউসস্টাফকে (House staff ) সাসপেন্ড করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরেই তাঁদের হাতে সাসপেন্ডের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান (Partha Pratim Pradhan)। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় গত প্রায় ২ মাস ধরে এই হাউস স্টাফরা ঠিকমতো কাজ করছিলেন না। বারেবারে সতর্ক করাও হয়। এরপরও চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে কেউ কাজে যোগ দেননি টানা তিনদিন। তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই সময়ের খবর অনুযায়ী, হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, "বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসক ও কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক রাখছেন। সেখানে কয়েকজন হাউসস্টাফ নিজেদের ইচ্ছেমতো চলছেন। তাঁরা রোস্টার মানছেন না। নিয়ম মেনে ডিউটিও করছেন না। দু'মাস ধরেই অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি। বহুবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। তার পরেও নিয়মিত কাজ না করে কয়েকজন কেবল পরিবেশ অস্থির করছেন। সেটা মেনে নেওয়া যায় না।" আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৪০ জন, মৃত্যু ১০ জনের

এদিকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদে পালটা আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন হাউস স্টাফরা। তাঁদের অভিযোগ, ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী কাজ না দেওয়া হয় না এবং লাগাতার কোভিড ওয়ার্ডেও কাজ করানো হয়। হাউস স্টাফদের একাংশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে গণ ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। যদিও তাঁদের এই গণইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে অধ্যক্ষ পার্থবাবু বলেন, "যাঁরা ইস্তফা দিতে এসেছিলেন আমার কাছে, তাদেরকে আগেই ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে। তাই তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। নোটিস দিয়ে তাঁদের বলা হয়েছিল বুধবার কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হস্টেল থেকেও তাঁদের বের করে দেওয়া হবে। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল কাউন্সিলেও জানানো হবে। প্রয়োজনে ওই হাউসস্টাফদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে ।"