2021 Assembly Election West Bengal: TMC-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে AAP! দুই 'রাজনৈতিক বন্ধু'-র একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণ কী?
কেজরিওয়ালের ম্যাজিক। দিল্লি বিধানসভা (Delhi Assembly Election 2020) নির্বাচনে স্বপ্ন ধূলিসাৎ বিজেপির । ‘সাম্প্রদায়িক বিভাজন’ বনাম ‘কাজের খতিয়ানে’ ভোট । হাতেনাতে মিলল ফল। ফের আগামী পাঁচ বছর দিল্লিতেই 'রাজ' করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লি জয়ের পর এবার লক্ষ্য় বাংলা। সূত্রের খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী দেবে কেজরিওয়ালের দল। এমনকী 'বন্ধু' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধেই ‘লড়বে’ আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। তবে কেমন হবে সেই লড়াই ?
কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: কেজরিওয়ালের ম্যাজিক। দিল্লি বিধানসভা (Delhi Assembly Election 2020) নির্বাচনে স্বপ্ন ধূলিসাৎ বিজেপির । ‘সাম্প্রদায়িক বিভাজন’ বনাম ‘কাজের খতিয়ানে’ ভোট । হাতেনাতে মিলল ফল। ফের আগামী পাঁচ বছর দিল্লিতেই 'রাজ' করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লি জয়ের পর এবার লক্ষ্য় বাংলা। সূত্রের খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী দেবে কেজরিওয়ালের দল। এমনকী 'বন্ধু' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধেই ‘লড়বে’ আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। তবে কেমন হবে সেই লড়াই ?
মমতা ও কেজরিওয়াল দু'জনেই 'রাজনৈতিক বন্ধু'। গত লোকসভা নির্বাচনে মোদী-বিরোধী মঞ্চেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে হঠাৎ কেন এই বৈপরীত্য় ? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, গত লোকসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশ গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। তবে সংখ্য়ালঘু ভোট ব্য়াংক নিজের দখলে রাখে মমতার দল। শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভের ভোট বিজেপিতে যাওয়াতেই এক লাফে ১৮ আসন পায় নরেন্দ্র মোদীর দল। তৃণমূল কংগ্রেসের ধারণা ছিল, শাসক-বিরোধী ভোট বাম-কংগ্রেসে ভাগ হতে পারে। তবে ফল প্রকাশ হতেই, হিসেব বদলে যায়। বোঝা যায়, শাসক-ক্ষোভ ভোটই শুধু নয়, বামেদের ভোটের বড় অংশ চলে গিয়েছে পদ্ম শিবিরে।
তবে সম্প্রতি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জী ইস্য়ুতে রাজ্য়ে খানিকটা হলেও বিজেপি কোণঠাসা। তার উপর, ছত্তিশগঢ়, রাজস্থানের পর ঝাড়খণ্ড ও দিল্লি। পরপর বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর, চিন্তা আরও বেড়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের। এখন থেকেই তাই আপের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল চূড়়ান্ত করতে চাইছে তৃণমূল। কারণ, কেজরিওয়ালের একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বরাবর আছে। এখন সেই ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। মনে করা হচ্ছে, শাসক বিরোধী যে ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছিল গত লোকসভাতে, তার একটা অংশ আপ টেনে নিতে পারলে, তাতে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপি।
১৯-র লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে দখল নেয় পদ্মফুল। ৪টি আসন বেশি পেয়ে তৃণমূলের দখলে ছিল ২২টি কেন্দ্র। তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল পদ্মফুল। ৫ বছরের ব্যবধানে ভোটের অঙ্ক দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল শিবির। সেই সংকট থেকে নিজেদের উদ্ধার করতেই বড়সড় 'রাজনৈতিক চাল' তৃণমূলের।
দিল্লি ভোটের ফলকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। এই একই ঢংয়ে ২১-র নির্বাচনে বিজেপিকে শিক্ষা দেবে বাংলা। সে বিষয়টি নিয়েও আত্মবিশ্বাসী মমতা বলেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে তারা হিংসার রাজনীতি করছে। সেই কারণেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লিতে একে একে হারের মুখ দেখেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে ক্ষমতায় এলেও তার পর থেকে যেখানেই ভোট হয়েছে, সেখানেই হেরেছে বিজেপি।'