SpaceX Astronaut Launch Postponed: ভিলেন খারাপ আবহাওয়া, স্থগিত হয়ে গেল স্পেস এক্স-এর মহাকাশ অভিযান

নাসার প্রথম ঐতিহাসিক স্পেস এক্স মিশনে (SpaceX Astronaut Launch) পড়ল বাধা, সৌজন্য খারাব আবহাওয়া। অনেক স্বপ্ন, অনেক প্রত্যাশা। আরও একটা ঐতিহাসিক মহাকাশ-যাত্রার জন্য সেজে উঠেছে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার। স্পেস এক্স মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বানানো ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে হুশ করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাবেন দুই মার্কিন নভশ্চর রবার্ট বেনকেন এবং ডগলাস হার্লে। সেকেন্ডের কাঁটায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। কিন্তু না। ফের বাধ সাধল সেই খারাপ আবহাওয়া। তবে বাধা পেলেও হাল ছেড়ে দিতে নারাজ মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩০ মে।

থমকে গেল স্পেস এক্স এর অ্যাস্ট্রোনট লঞ্চ (Photo Credits: NASA)

ওয়াশিংটন, ২৮ মে: নাসার প্রথম ঐতিহাসিক স্পেস এক্স মিশনে (SpaceX Astronaut Launch) পড়ল বাধা, সৌজন্যে খারাব আবহাওয়া। অনেক স্বপ্ন, অনেক প্রত্যাশা। আরও একটা ঐতিহাসিক মহাকাশ-যাত্রার জন্য সেজে উঠেছে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার। স্পেস এক্স মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বানানো ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে হুশ করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাবেন দুই মার্কিন নভশ্চর রবার্ট বেনকেন এবং ডগলাস হার্লে। সেকেন্ডের কাঁটায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। কিন্তু না। ফের বাধ সাধল সেই খারাপ আবহাওয়া। তবে বাধা পেলেও হাল ছেড়ে দিতে নারাজ মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই ঐতিহাসিক মহাকাশ যাত্রার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৩০ মে।

ঐদিন বেলা তিনটে বেজে ২২ মিনিটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে উড়বে ফ্যালকন ৯ রকেট। অভিযান স্থগিতের পরে পরেই টুইট বার্তায় একথা জানায় নাসা। “মিশন ব্যর্থ হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বুধবারের মহাকাশ যাত্রা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। আগামী শনিবার, ৩০ মে স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টে ২২ মিনিট নাগাদ কেনেডি স্পেস সেন্টারেরই ৩৯-এ লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশে উড়ে যাবে স্পেস এক্স সেন্টারের রকেট ফ্যালকন ৯,” বলেছেন নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন। তাদের কাজের জন্য নাসা ও স্পেসএক্সকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও পড়ুন-'Spy' Pigeon: নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে উড়ে আাসা পায়রা তাঁর পোষ্য, শান্তির দূতকে ফিরে পেতে নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদনকরলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা

স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্প তথা স্পেস এক্সের পথ চলা সেই ২০০২ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ক্যালোফোর্নিয়ার এই বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসক্রাফ্ট এবং রকেট বানানোর জন্য বিখ্যাত। মহাকাশযান তৈরি করলেও, মহাকাশ অভিযানে রকেট পাঠানোর সুযোগ কয়েকবারই হয়েছে স্পেস এক্স সেন্টারের। প্রথমবার ২০০৮ সালে পৃথিবীর কক্ষে ফ্যালকন ১ রকেট পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স। সেটাই ছিলপ্রথম মহাকাশ মিশন। ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট মহাকাশে পাঠিয়েছিল তারা। এরপরে ২০১৫,২০১৭ সালে ফ্যালকন ৯ রকেট পাক খেয়েছে পৃথিবীর কক্ষে। ২০১১ সালে প্রথমবার নভশ্চর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নামে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। তারপর থেকে দীর্ঘ সময়ের বিরতি। ৯ বছর পরে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফের আইএসএস-এ নভশ্চর পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় স্পেস এক্স। বেছে নেওয়া হয় দুই অভিজ্ঞ নভশ্চর অ্যাস্ট্রো-বেনকেন ও অ্যাস্ট্রো-হার্লেকে।