Google Doodle: আজ বিশ্বের প্রথম মহিলা ডক্টরেট Elena Cornaro Piscopia-কে ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ
গুগলের ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ বিশ্বের প্রথম মহিলা ডক্টরেট এলেনা করনারো পিকসোপিয়ার( Elena Cornaro Piscopia)-কে। তিনি ছিলেন ইতালির বিখ্যাত দার্শনিক ও ধর্মবিজ্ঞানী।
গুগলের ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ বিশ্বের প্রথম মহিলা ডক্টরেট এলেনা করনারো পিকসোপিয়ার( Elena Cornaro Piscopia)-কে। তিনি ছিলেন ইতালির বিখ্যাত দার্শনিক ও ধর্মবিজ্ঞানী। নানা বিষয়ে পারদর্শী এলেনা করনারো ইতালির ভেনিসে জন্মগ্রহণ করেন আজকের দিনেই, ৫ জুন, ১৬৪৬ সালে। সেই দিনটা মনে রেখে Elena Cornaro Piscopia-র ৩৭৩ তম জন্মদিনে আজ গুগল ডুডলিং শ্রদ্ধার্ঘ জানালো। আজকের গুগল ডুডল (Today's Google Doodle)-জুড়ে এলিনা-র ছবি। তিনি ৩২ বছর বয়সে পিএইচডি অর্জনকারী প্রথম মহিলা ছিলেন।
পাশাপাশি গ্রিক, লাতিন, হিব্রু, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি সহ নানা ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। গুগলের ডুডলে দেখা যাচ্ছে এলেনার মাথায় বিশেষ সম্মান, আঙুলে সোনার আংটি। তাঁর হাতে দর্শনের একটি বই এবং তার কাঁধে একটি কেপ। বিশ্বের প্রথম এই মহিলা ডক্টরেটকে আজ ডুডল শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গুগল। আরও পড়ুন-Google Doodle-এ আজ ৫০ বছরের LGBTQ+আন্দোলনকে সম্মান
শুধু ভাষা জ্ঞান নয়, নানাবিধ বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ক্ষেত্রেও তাঁর পারদর্শিতা ছিল দেখার মত। এলিনা বলতেন, তিনি ভাষা আর বাদ্যযন্ত্রের সুরের মধ্যে জীবনের বেঁচে থাকার প্রেরণা পেতেন। তিনি হারপসিকর্ড, ক্ল্যাভিকর্ড, হার্প এবং বেহালার মতো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে শেখেন। গণিত এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিয়েও অধ্যয়ন করেন। কিন্তু, তাঁর ব্যক্তিগত ভালো লাগার বিষয় ছিল ধর্মবিজ্ঞান এবং দর্শনশাস্ত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওলজির ডক্টরেটের জন্য আবেদন করলেও গির্জার একশ্রেণীর শীর্ষকর্তারা একজন মহিলাকে এই গবেষক স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন ফলত তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
বাবাকে সঙ্গী করে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এলেনা ডক্টরেট অফ ফিলোসফির জন্য ফের আবেদন করেন। এলেনা করনারোর মৌখিক পরীক্ষাটি ছিল বিশাল আগ্রহের বিষয়। ইতালিতে নান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, সেনেটর এবং অন্যান্য অতিথিদের মিলিয়ে বিশাল শ্রোতা সমাগম হয় ওই পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে পাডুয়া ক্যাথেড্রালে ওই পরীক্ষা পরিচালিত হয়। লাতিন ভাষায় যে বক্তৃতাটা সেদিন এলিনা দিয়েছিলেন তা কমিটিকে মুগ্ধ করে। কমিটি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের মতামত দেওয়ার পরিবর্তে ডক্টরেট দেওয়ার জন্য জনসমক্ষেই তাদের অনুমোদন প্রকাশ করেন। এভাবেই তৈরি হয় ইতিহাস।