ED Raids Chinese Company: বিদেশি মুদ্রা আইনে ভাঙার অভিযোগ, বেঙ্গালুরুর চিনা সংস্থায় হানা ইডির
বিদেশি মুদ্রা আইন ভাঙার অভিযোগে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত একটি চিনা সংস্থার দুটি অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করলেন ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা।
বেঙ্গালুরু: বিদেশি মুদ্রা আইন (Foreign Exchange Management Act) ভাঙার অভিযোগে কর্নাটকের (Karnataka) রাজধানী বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) অবস্থিত একটি চিনা সংস্থার (Chinese company) দুটি অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করলেন ভারতীয় (Indian) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Directorate of Enforcement) তদন্তকারীরা। বেঙ্গালুরুর ওই চিনা সংস্থার নাম পিগন এডুকেশন টেকনোলজি ইন্ডিয়া (Pigeon Education Technology India) বলে জানা গেছে।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, ওই চিনা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত বেঙ্গালুরুর দুটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর কাগজপত্র (Incriminating documents) ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের (Electronic devices) ফরেনসিক ব্যাকআপ (Forensic backups) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, পিগন এডুকেশন টেকনোলজি ইন্ডিয়া নামে ওই সংস্থাটি ওডাক্লাস নামে অনলাইনে শিক্ষা দিত। তল্লাশির সময় এই কথা জানা যায় যে সংস্থাটি পুরোপুরি চিনের নাগরিকদের মালিকানাধীন। কেম্যান দ্বীপে অবস্থিত একটি কোম্পানির শাখা সংস্থা হিসেবে কাজ করত এটি। আর এর পুরো সিস্টেমটাই পরিচালিত হত কেম্যান দ্বীপে থাকা ওই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে।
বর্তমানে পিগন কোম্পানির ডিরেক্টর হল চিনের নাগরিক লিউ ক্যান ও ভারতীয় নাগরিক বেদান্ত হামিরওয়াসিয়া। তল্লাশির সময় একথাও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কোম্পানির সমস্ত কাজকর্মই চিনে বসে থাকা লিউ ক্যানের নির্দেশে সম্পন্ন হয়। ভারতীয় নাগরিক বেদান্তের সংস্থার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। চিন থেকে বসে লিউ যে সমস্ত নির্দেশ দেন। বেদান্ত তাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন।
ভারতে থাকা সংস্থাটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অথরাইজড সিগনেটারি হলেন চিনের ওই নাগরিক। আর চিন থেকে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি পরিচালনা করেন তিনি। এই সুযোগেই কার থেকে পরিষেবা নিয়েছে তা উল্লেখ না করেই সংস্থাটির মার্কেটিংয়ের জন্য খরচ দেখিয়ে ৮২ কোটি টাকা ভারতের অ্যাকাউন্ট থেকে চিনে পাঠিয়েছেন লিউ ক্যান।