FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার দৌড় থেকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া, পিছনে যে কারণ
টোকিও অলিম্পিকের পর এবার ২০২০ কাতার বিশ্বকাপ থেকেও সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলে চমকে দেওয়া উত্তর কোরিয়া বড় সিদ্ধান্ত নিল।
সিওল, ১৬ মে: টোকিও অলিম্পিকের পর এবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ (2022
Qatar world cup) থেকেও সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলে চমকে দেওয়া উত্তর কোরিয়া বড় সিদ্ধান্ত নিল। কিম জং উনের দেশ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের মাঝপথে নাম প্রত্যাহার করে নিল। তার মানে ২০২২ কাতার ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে উত্তর কোরিয়ার খেলার আর কোনও সম্ভাবনা থাকল না। এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (AFC)নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের এশিয়ান কোয়ালিফায়ার পর্ব থেকে উত্তর কোরিয়া নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই নাম প্রত্যাহারের পিছনে কারণ কী তা উত্তর কোরিয়া না জানালেও, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে খবর করোনাভাইরাসের ভয়েই এই সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন: ICC Planning To Expand T20 World Cup: ২০ দলের বিশ্বকাপের পথে আইসিসি
করোনার কারণে এএফসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগ্যতানির্ণয়ক দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ সীমিত সংখ্যাক দেশে আয়োজিত হবে। সেই মত উত্তর কোরিয়া খেলতে যেতে হত দক্ষিণ কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়া গ্রুপ H-এ ছিল। যেখানে তাদের সঙ্গে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea), তুর্কিমিনিস্তান, লেবানন (Lebanon) ও শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। সব দলই ৫টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছিল। বাকি ছিল তিনটি করে ম্যাচ। উত্তর কোরিয়া ৮ পয়েন্ট পেয়ে চার নম্বরে থাকলেও পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে ছিল। তুর্কিমিনস্তান (৯ পয়েন্ট), দক্ষিণ কোরিয়া (৮ পয়েন্ট), লেবানন (৮ পয়েন্ট)-র পরে গোলপার্থক্যে চার নম্বরে ছিল উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া সরে দাঁড়ানোর পর এই গ্রুপে ভবিষ্যৎ ফিফা-র গর্ভনিং বডিতে ঠিক হবে। যোগ্যতাপর্ব থেকে নাম প্রত্যাহার করায় ২০২৩ এশিয়ান কাপেও খেলতে পারবে না উত্তর কোরিয়া। প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ ও ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তারা। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপের মূলপর্বে তারা খেলার যোগ্যতা পায়।
এর আগেই উত্তর কোরিয়া অলিম্পিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় তারা চলতি বছর টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবে না। উত্তর কোরিয়ার দাবি তাদের দেশে করোনা ভাইরাসের কোনও সক্রিয় কেস নেই। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলতে গিয়ে যদি ক্রীড়াবিদদের মাধ্যমে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে সেই আশঙ্কাতেই তারা খেলছে না। যদিও উত্তর কোরিয়ার দাবি মানে না আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।