Manu Bhaker: মা সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার, ইংরেজি জানতাম না, ছোট্ট বক্তৃতায় মন জিতলেন মানু
প্যারিস অলিম্পিকে জোড়া পদক জিতে ইতিহাস গড়া তারকা শ্যুটার মানু ভাকের এবার তাঁর বত্তৃতায় মন জিতলেন।
চেন্নাই, ২০ অগাস্ট: প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) জোড়া পদক জিতে ইতিহাস গড়া তারকা শ্যুটার মানু ভাকের (Manu Bhaker) এবার তাঁর বত্তৃতায় মন জিতলেন। চেন্নাইয়ে এক স্কুলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়ে মানু এমন কিছু কথা বললেন, যা শুনলে যে কেউ অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়ে মানু বললেন, কোনও কিছু অর্জন করতে চাইলে, সবার আগে সেটা নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করো। তারপর পরিশ্রম করে যাও, আরও পরিশ্রম। আর সব সময় নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসটা রেখো।
তাঁর নিজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার মা, এমন কথা জানিয়ে মানু বললেন, " আমি যেখানে আজ দাঁড়িয়ে আছি, তার সবটা আমার মা তৈরি করেছেন। মা আমায় বলেছিলেন, অনুপ্রেরণা নাও, কিন্তু কারও মত হওয়ার চেষ্টা করো না। বাবা মায়ের সাহায্য ছাড়া, কেউ বেশী দূর যেতে পারে না।" তিনি একটা সময় একেবারেই ইংরেজি বলতে পারতেন না। কিন্তু তার জন্য লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র হওয়া নয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবেও নিজেকে গড়া তোলার বিষয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন প্যারিসে মহিলাদের শ্যুটিংয়ে জোড়া পদকজয়ী।
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিয়ে মানু বললেন, " কখনও নিজের পরিবার, নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডটা ভুলে যেও না, অসম্মান করো না। আমি ইংরেজি জানতাম না। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। আরও অনেক কিছু জানতাম না । কিন্তু আমি সেগুলি শিখেছে। আমায় অনেকে সাহায্য করেছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নাও। কখনও হতাশ হও না।" আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৬ বছর পূর্ণ করলেন বিরাট কোহলি, শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট আরসিবি সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের
শুনুন কী পরামর্শ দিলেন মানু ভাকের
স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে মানু আবেদন করলেন, একবার ব্যর্থ হলে কখনও হাল ছেড়ে দিও না। একটা ব্যর্থতা কখনই কোনওকিছু শেষ করে দেয় না। এই বিষয়ে নিজের কথা মনে করিয়ে মানু বললেন, " আমি টোকি অলিম্পিকের সময় বিশ্বের দু নম্বর শ্য়ুটার ছিলাম। কিন্তু সেখানে বড় ব্যর্থ হই। সেই ব্যর্থতা থেকে ফিরে আসা কঠিন ছিল, খুব কঠিন। কিন্তু আমি জানতাম পরিশ্রম করলে ফিরে আসবই।"স্কুল পড়ুয়াদের কাছে খেলাধুলোকে কেরিয়ার হিসেবে নেওয়ার আবেদন করলেন মানু। বললেন, গত আট বছরে আমি বিশ্বের অর্ধেকটা ঘুরে ফেলেছি। "