Border Gavaskar Trophy 2024-25: ঐতিহাসিক গাব্বা জয়ী দলের আধ ডজন তারকাই নেই ২০২৪ ব্রিসবেন টেস্টে
সেইসময় দলের বেশ কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে তারা। বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো খেলোয়াড়দের ছাড়াই রাহানের অধিনায়কত্বে যে ঐতিহাসিক জয় আসে তা ক্রিকেটের কাহিনীতে অনন্য জয়ের ঘটনা।
Border Gavaskar Trophy 2024-25: ব্রিসবেনের গাব্বা ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬ অলআউট হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে গাব্বা কেবল একটি ভেন্যু নয়, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি (AUS বনাম IND) চলাকালীন ভারত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। সেইসময় দলের বেশ কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে তারা। বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো খেলোয়াড়দের ছাড়াই রাহানের অধিনায়কত্বে যে ঐতিহাসিক জয় আসে তা ক্রিকেটের কাহিনীতে অনন্য জয়ের ঘটনা। এখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত আবারও কিছুটা কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে। বর্তমানে পার্থ এবং অ্যাডিলেডে রোমাঞ্চকর ম্যাচের পরে ১-১ সমতায় রয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর গাব্বায় ফের গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় টেস্টে অজিদের মুখোমুখি হবে দল। তবে, এবার প্লেয়িং ইলেভেনে সেই স্মরণীয় ম্যাচের ৬ জন খেলোয়াড় থাকছেন না। Border Gavaskar Trophy 2024-25: পিচে থাকবে গতি ইঙ্গিত গাব্বার কিউরেটরের, ব্রিসবেনের আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কা
দলে না থাকা প্রত্যেকেই সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একনজরে সেই খেলোয়াড়দের তালিকা-
অজিঙ্ক রাহানেঃ অজিঙ্ক রাহানে অধিনায়ক হিসাবে গাব্বায় ভারতকে জয় এনে ইতিহাস গড়েন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী এবং তার ২৪ রানের ইনিংস সেই মুহূর্তে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে সেই স্মরণীয় জয়ের পর থেকে রাহানের ফর্ম তলানিতে ঠেকেছে, যার ফলে বর্তমান দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। যেহেতু তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন, তাই তার অভিজ্ঞতা ম্যাচের চাপের পরিস্থিতিতে দলকে গাইড করার ক্ষেত্রে অমূল্য হত।
চেতেশ্বর পূজারাঃ গাব্বায় চেতেশ্বর পূজারার পারফরম্যান্স বীরত্বের চেয়ে কম ছিল না। তিনি অটল দৃঢ়তার সাথে নিরলস বোলিং আক্রমণের মুখোমুখি হন। তাঁর ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ভারতের জন্য ভিত্তি গড়ে দেন। অজিদের গড়ে স্লেজিং এবং ঘুরের দাঁড়ানোর চাপের সঙ্গে শরীরের আঘাত সহ্য করা পূজারার ক্ষমতা সেই ম্যাচে ভারতের লড়াকু মনোভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলতি সিরিজে তাকে দলে নেওয়া হয়নি, পরিবর্তে ধারাভাষ্যের দায়িত্বে মন দিয়েছেন তিনি।
টি নটরাজনঃ টি নটরাজন সেই সময় টেস্টে অভিষেক করেন এবং তার বাঁহাতি পেস বোলিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনটি উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে ফেলতে সহায়তা করেন। নেট বোলার থেকে ম্যাচ উইনার হয়ে ওঠার যাত্রা ছিল স্বপ্নের। তবে চোট নটরাজনের কেরিয়ারকে জর্জরিত করেছে সেই কারণে তাঁর নাম এই সিরিজে নির্বাচনের জন্য ছিল না।
ময়ঙ্ক আগরওয়ালঃ গাব্বা টেস্টে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। ইনিংসে টিকে থাকা এবং পার্টনারশিপ গড়ার তাঁর দক্ষতা এই ম্যাচে উল্লেখযোগ্য ছিল। তবে, আগারওয়াল এখন জাতীয় সেটআপের অনুপস্থিত, নির্বাচকরা সাম্প্রতিক সিরিজগুলিতে তরুণ প্রতিভাদের বেছে নিয়েছেন।
শার্দুল ঠাকুরঃ শার্দুল ঠাকুর গাব্বা টেস্টে ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এবং মূল্যবান রান ভারতকে একটি শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ান দলের বিরুদ্ধে গতি বজায় রাখতে সহায়তা করেছিল। তার প্রভাবশালী পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, ঠাকুর মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে অংশ নেওয়ার কারণে এই সিরিজের জন্য দলে জায়গা করে নিতে পারেননি।
নভদীপ সাইনিঃ চোটের কারণে গাব্বায় নভদীপ সাইনির অবদান সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তবে মাঠ ছাড়ার আগে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন তিনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় স্কোয়াডের অংশ, সাইনি ফিট থাকা সত্ত্বেও বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের মতো বোলারদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে নাও থাকতে পারেন।