IPL Title Rights: 'আইপিএল টাইটেল' নিয়ে কঠোর শর্ত বিসিসিআইয়ের, নিষিদ্ধ হতে পারে চীনা ব্র্যান্ড
বিসিসিআই বেটিং এবং জুয়া সংস্থার পাশাপাশি ফ্যান্টাসি গেমস, স্পোর্টসওয়্যার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির দরপত্রও প্রত্যাখ্যান করছে
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) সক্রিয়ভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্য একটি টাইটেল স্পনসর খুঁজছে এবং সম্ভাব্য বিডারদের জন্য কঠোর শর্তাবলী নির্ধারণ করেছে। Cricbuzz-এর খবর অনুসারে, যে সব দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, সেই সব দেশের ফার্মের সঙ্গে যুক্ত হতে অনীহা প্রকাশ করে বিসিসিআই ইঙ্গিত দিয়েছে, চিনা সংস্থা বা ব্র্যান্ডের দরপত্র হয়তো তারা বরদাস্ত করবে না। অধিকারের জন্য সংরক্ষিত মূল্য প্রতি বছর ৩৬০ কোটি টাকা। নির্দিষ্ট দেশ বা ব্র্যান্ডের কথা স্পষ্ট করে না বললেও, বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া এবং চিনের স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা ভিভোর (Vivo) সঙ্গে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর পর ভিভো পাঁচ বছরের স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে টাটা গোষ্ঠীকে অধিকার ছেড়ে দেয়। Top Unsold Players in IPL: আইপিএলে নিলামে তারকা ক্রিকেটার যাদের কিনল না কেউ
বিসিসিআই বেটিং এবং জুয়া সংস্থার পাশাপাশি ফ্যান্টাসি গেমস, স্পোর্টসওয়্যার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির দরপত্রও প্রত্যাখ্যান করছে। বিসিসিআই অযোগ্যতার জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জুয়া এবং বেটিং ফার্ম, ফ্যান্টাসি গেমিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন এবং অ্যালকোহল পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, স্পোর্টসওয়্যার তৈরির সঙ্গে যুক্ত ফার্মের ওপর অদ্ভুত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আইটিটি জানিয়েছে, যে সমস্ত বিডার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে পারফরমেন্স ওয়্যার এবং স্পোর্টসওয়্যারে কাজ করবেন, তাঁরা এই সুযোগ পাবেন না। এছাড়া কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করা সংস্থাগুলিকে অনুমতি দেওয়া হবে না।
গত মরসুমের পর টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আগের চুক্তি শেষ হওয়ায় নতুন টাইটেল স্পনসরের খোঁজে রয়েছে আইপিএল। আসন্ন স্পন্সরশিপ চুক্তিটি পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারিত, যা ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলবে। আগের দু'টি মরসুমে টাটা গোষ্ঠী যে মূল্য দিয়ে আসছিল, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ৩৬০ কোটি টাকার রিজার্ভ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে আইটিটি ডকুমেন্ট আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কেনা যাবে। আগামী ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।