Viral Video: ট্রেন দাঁড় করিয়ে রোজই খাস্তা কচুরি কিনতেন চালক! ধরা পড়তেই সাসপেন্ড
লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন দাঁড় করিয়ে পছন্দের দোকান থেকে প্রতিদিন খাস্তা কচুরি (khastakachori) কেনেন চালক (Driver)। রোজই সেই কারণে দেরি হয়ে যায় সকালে কাজে বের হওয়া নিত্য যাত্রীদের। কারণ, ট্রেন চালক যে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন দাঁড় করান, সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় কচুরির প্যাকেট। ফলে লেভেল ক্রসিংয়ে (Level Crossing) গেট ফেলতেই হয়। আর সেই কারণে লাইনের দু'পাশে গাড়ি, বাইক নিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন নিত্য যাত্রীরা। মাঝেমাঝে বড়সড় লাইনও পড়ে যায়। এরপর দেখা যায় এক ব্যক্তি ট্রেন চালকের হাতে তুলে দেন খাস্তা কচুরির প্যাকেট। এর পরে, লোকো পাইলট (Loco Pilot) হর্ন বাজিয়ে ট্রেন চালাতে শুরু করেন।
আলওয়ার, ২৩ ফেব্রুয়ারি: লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন দাঁড় করিয়ে পছন্দের দোকান থেকে প্রতিদিন খাস্তা কচুরি (khastakachori) কেনেন চালক (Driver)। রোজই সেই কারণে দেরি হয়ে যায় সকালে কাজে বের হওয়া নিত্য যাত্রীদের। কারণ, ট্রেন চালক যে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেন দাঁড় করান, সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় কচুরির প্যাকেট। ফলে লেভেল ক্রসিংয়ে (Level Crossing) গেট ফেলতেই হয়। আর সেই কারণে লাইনের দু'পাশে গাড়ি, বাইক নিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন নিত্য যাত্রীরা। মাঝেমাঝে বড়সড় লাইনও পড়ে যায়। এরপর দেখা যায় এক ব্যক্তি ট্রেন চালকের হাতে তুলে দেন খাস্তা কচুরির প্যাকেট। এর পরে, লোকো পাইলট (Loco Pilot) হর্ন বাজিয়ে ট্রেন চালাতে শুরু করেন।
ঘটনাটি রোজই ঘটে রাজস্থানের আলওয়ারের (Alwar) একটি লেভেল ক্রসিংয়ে। প্রায় প্রতিদিন সকালে আলওয়ারের দাউদপুর ক্রসিংয়ে (Daudpur Crossing) এই উদ্ভট দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়। লোকো পাইলটের কচুরি কেনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার না হলে সম্ভবত এটি চলতেই থাকত। দৈনিক ভাস্করের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে ক্রসিংয়ের গেট নামিয়ে দেওয়া হয় যাতে ট্রেনের চালকের কাছে জলখাবার পৌঁছে দেওয়া যায়। ক্রসিংয়ে থাকা রেলের কর্মীরাই কাছের দোকান থেকে কচুরি কিনে প্রতিদিন ট্রেনে পৌঁছে দেন। এদিকে চালকের জলখাবারের জন্য প্রতিদিন সকালে শত শত নিত্যযাত্রী অসুবিধায় পড়েন। আরও পড়ুন: Reena Dwivedi: সেই হলুদ শাড়িতে ঝড় তোলা ভোটকর্মীকে মনে আছে? উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আবারও ভাইরাল
লোকো পাইলটের কচুরি নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই রেল ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। জয়পুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার নরেন্দ্র কুমার এখন এই ঘটনার জন্য পাঁচজনকে সাসপেন্ড করেছেন। তাঁরা হলেন দুই লোকো পাইলট, দুই গেটম্যান এবং একজন প্রশিক্ষক। আলওয়ারের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট আরএল মীনাও লোকো পাইলটের এই কাজের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, "লোকো পাইলট নিজের ইচ্ছায় ইঞ্জিন বা ট্রেন থামাতে পারেন না। কচুরির জন্য এভাবে ট্রেন থামানো অন্যায়।"