বাংলাদেশটা ঠিক কোথায়? ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশ্নে নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড়
রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি বাংলাদেশ থেকে সাহায্যের আশায় মার্কিন প্সিডেন্টের সামনে। সাহায্য চাইতেই ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করলেন বাংলাদেশটা ঠিক কোথায়, শুরু হল বিতর্ক।
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৯ জুলাই: ফের আলটপকা মন্তব্য করে নেট দুনিয়া ও বিশ্ব রাজনীতিতে হাসির খোরাক হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। কোনও সিরিয়াস বিষয়ে আলোচনা তিনি করতেই পারেন না, শুধু আমেরিকা থেকে অভিবাসী তাড়ানো ছাড়া। এই একটা বিষয়ে তিনি নিজেই সিরিয়াস। বাকিটা সময় নিজের খেয়ালেই তাকেন। হোক না তা যত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, তিনি তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মান তো তাঁর প্রাপ্য। তাই না? রোহিঙ্গাদের সমস্যা সংক্রান্ত বৈঠকে বসে প্রশ্নটা করেই ফেললেন তিনি, আচ্ছা বাংলাদেশটা ঠিক কোথায়? আরও পড়ুন-ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি, আমেরিকা সফরে হোয়াইট হাউসেই থাকবেন ইমরান খান
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে ততক্ষণে হতচকিত উপস্থিত সকলেই। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁর উপদেষ্টা। ট্রাম্পকে বলেন, “মায়ানমারের ঠিক পাশেই যে দেশটি রয়েছে, সেটাই হল বাংলাদেশ।” এখানেই শেষ নয়, চমকের আরও বাকি ছিল। আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে পালিয়ে আসা ইয়াজিদি মহিলা নাদিয়া মুরাদ। তিনিও সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ইয়াজিদি মহিলাদের সমস্যার কথাই বলছিলেন ট্রাম্পকে। সেই সময় হঠাত্ ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আপনিই তো নোবেল পেয়েছিলেন তাই না! সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু কিসের জন্য পেয়েছিলেন বলুন তো?” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এমন কথা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন নাদিয়া। একটু থেমে তাঁর নোবেল পাওয়ার ব্যাখ্যাও দেন নাদিয়া! সেই সঙ্গে ইয়াজিদি মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আর্জিও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।
জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গাদের এক প্রতিনিধি এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নাদিয়া মুরাদ ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরই অফিসে। রোহিঙ্গারা কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা কী ভাবে ইরাকে ইয়াজিদি মহিলাদের বন্দি বানাচ্ছে— এসব সমস্যার কথা জানিয়ে ট্রাম্পের সাহায্য চাইতে গিয়েছিল প্রতিনিধি দলটি। রোহিঙ্গাদের হয়ে যিনি প্রতিনিধিত্ব করছিলেন তিনি ট্রাম্পকে বলেন, “ আমি বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পের এক জন রোহিঙ্গা। শরণার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফিরতে চায়। এব্যাপারে কীভাবে আমাদের সাহায্য করবেন আপনি?” ততক্ষণাৎ ট্রাম্প বলে ওঠেন, বাংলাদেশটা যেন কোথায়? এরপরেই সমালোচনায় নিরন্তর বিদ্ধ হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি মায়ানমারকে চিনতে পারলেও বাংলাদেশকে চেনেন
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)