দেশের মানুষের নুন আনতে পান্তা নেই, আর ফার্স্টলেডি কিনা ৫০ হাজার ডলারের ব্যাগ নিয়ে ঘুরছেন

নেটিজেনদের সমালোচনায় বিদ্ধ তুরস্কের ফার্স্টলেডি।

এমাইন এর্দোগান(Photo Credit: Twitter)

টোকিও, ৩জুলাই : আর্থিক সংকটে তুরস্কের জনজীবন বিধ্বস্ত, কিন্তু প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। মন খারাপ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাসিন্দারা আর বিলাস ব্যসনে ডুবে রয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ। সম্প্রতি জাপান সফরে স্ত্রীকে নিয়ে টোকিও আসেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগান। বিমান থেকে অবতরণের সময় দেখা যায় তুরস্কের ফার্স্ট লেডির (Turkey's First Lady) হাতে রয়েছে ৫০ হাজার ডলারের (priced USD 50,000) দুর্মূল্য হাতব্যাগ। এই ছবি নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি। দেশের মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে, আর দুর্মূল্য হাতব্যাগ (handbag) নিয়ে বিদেশ সফরে এসেছেন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এমাইন এর্দোগান (Emine Erdogan)। সমালোচনা তো হবেই। ওই ব্যাগের দামে তুরস্কের ১১জন বাসিন্দার সারাবছরের যাবতীয় খরচ মিটে যাবে। আরও পড়ুন- Bangladesh: শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ৯ BNP কর্মীকে মৃত্য়ুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত

রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এই মিথ সকলের জানা। তবে এবার তুরস্কের বাস্তব ছবিটাও বিশ্ব দেখুক। এমনটাই চাইছে সেখানকার সংবাদ মাধ্যম। তাইতো আর্থিক সংকটে নাভিশ্বাস ওঠা দেশবাসীর ফার্স্টলেডি ৫০ হাজার ডলারের হাতব্যাগ নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। গত অগস্টে চরমে উঠেছিল তুরস্কের আর্থিক সংকট। তার থেকে এখনও মুক্তির পথ খুঁজছে দেশবাসী। দেশ জুড়ে লাগামছাড়া বেকারত্ব। সংবাদমাধ্যমে আশঙ্কা, এ ভাবে চলতে থাকলে তা অতীত বেকারত্বের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। সেই অবস্থায় সমালোচকরা দুষছেন এর্দোগান জমানায় তৈরি ১১৫০ কক্ষের প্রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্সকেও। যেখানে মানুষ দুবেলা অন্ন জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে এতবড় কমপ্লেক্স কীকরে তৈরি হয়।

এর আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে এমাইনকে নিয়ে। বছর তিনেক আগে তিনি হারেমের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বলেছিলেন, হারেম আসলে নারীকে জীবনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। প্রাচীন তুরস্কের ওটোমান শাসন তথা ইসলামিক রীতিনীতির পক্ষপাতি প্রেসিডেন্ট রিসেপ এবং ফার্স্ট লেডি এমাইন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, হারেম ছিল ওটোমান রাজবংশের ঘরানা মেনে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যা তাঁদের গড়ে তুলত আগামী জীবনের জন্য। সেবারও তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি দেশের ফার্স্ট লেডি। এমাইন যে ফের বিপাকে পড়েছেন তাতে সন্দেহ নেই।