লিফটে দড়ির ফাঁসে আটকে গেল ভাই, কী করল দিদি?(দেখুন ভিডিও)
অ্যালিভেটরের মধ্যেই ওঁত পেতে বসেছিল বিপদ, নাবালিকা দিদির উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচল নাবালকের। লিফটে চড়ে কোথাও যাচ্ছিল তিন ভাইবোন। নাবালক নাবালিকার সঙ্গে ছিল তাদের একরত্তি ভাইটিও।
ইস্তানবুল, ৫ আগস্ট: অ্যালিভেটরের মধ্যেই ওঁত পেতে বসেছিল বিপদ, নাবালিকা দিদির উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচল নাবালকের। লিফটে চড়ে কোথাও যাচ্ছিল তিন ভাইবোন। নাবালক নাবালিকার সঙ্গে ছিল তাদের একরত্তি ভাইটিও। অ্যালিভেটরের দরজা বন্ধ হতেই দিদির খেয়াল হয় পিঠোপিঠি ভাইটি তো পাশে নেই। সিলিং থেকে একটা ফাঁস আকৃতির দড়ি ঝুলছিল। সেদিকে তাকিয়ে দিদির চোখ ততক্ষণে কপালে উঠেছে। দড়ির ফাঁসে আটকে ভাই তখন মেঝে ছেড়ে বেশ কানিকটা উপরে ঝুলছে। বিপদ বুঝে ভাইয়ের পা জোড়া উঁচুকরে ধরে রইল দিদি। অন্য হাত দিয়ে অ্যালিভেটরের বিপদঘণ্টিও সে বাজিয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন-কেরালায় বিকোচ্ছে ব্রাহ্মণ দুধ, ট্যাগ লাইনে ‘গো রক্ষা দেশ রক্ষা’__ ধিক্কারে নেটিজেনরা
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, তুরস্কের ইস্তানবুলের এক আবাসনের অ্যালিভেটরে। ভাইয়ের পা উঁচু করে ধরতেই গলায় চেপে বসতে পারেনি ফাঁসের দড়ি। দরজা খুলতে না খুলতেই দিদি নিজেই ভাইকে ফাঁসমুক্ত করে ফেলে। অ্যালিভেটরের মধ্যেই ছিল সিসিটিভি তাতেই গোটা দৃশ্যটি বন্দি হয়ে পড়ে। সেই ভিডিও শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়েছে। সহদরকে বাঁচাতে নাবালিকার এহেন ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। ভয়ানক বিপদ দেখেও ওই নাবালিকা যে মাথা ঠান্ডা রেখে যে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে তাতে বিস্মিত সকলে। ছোট্ট ভাইয়ের জীবন ফিরিয়ে একেবারে দিদির মতোই কাজ করেছে সে।
দিদি ভাইকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিশে, আঘাত না লাগলেও নাবালক যে ভয় পেয়েছে তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। এদিকে দাদাকে বাঁচাতে দিদির এই উদ্যোগের মাথামুণ্ডু বুঝতে পারেনি অ্যালিভেটরের মধ্যে থাকা তৃতীয় তথা সর্বকনিষ্ঠ শিশুটি। সে গোটা ঘটনাই অবাক হয়ে দেখেছে।