হাইকিংয়ে বেরিয়ে হাওয়াইয়ের জঙ্গলে ১৭ দিন নিখোঁজ তরুণী, উদ্ধারের ভিডিও ভাইরাল
হাইকিংয়ে বেরিয়ে একটানা ১৭দিন নিখোঁজ। পরিচিতরা ধরেই নিয়েছিলেন মাউই দ্বীপের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছেন তিনি। দুই জলপ্রপাতের মাঝখান থেকে উদ্ধার করে আনল মার্কিন তরুণী তথা হাইকার আমান্ডা এলারকে। যোগার শিক্ষিকা আলান্ডা শুধু হাইকিংয়েই নয়, স্কুভা ডাইভিংয়েও সমান পারদর্শী।
হাইকিংয়ে বেরিয়ে একটানা ১৭দিন নিখোঁজ। পরিচিতরা ধরেই নিয়েছিলেন মাউই দ্বীপের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছেন তিনি। কেউ হয়তো অপহরণও করতে পারে ওই তরুণীকে। তবে বাড়ির লোকজন বিশেষ করে মা জুলিয়া এলার কিছুতেই মানতে চাননি এই তথ্য। শক্ত সমর্থ মেয়ে তাঁর, কোনওভাবেই অপহরণকারীদের হাতে নিজেকে ছেড়ে দেবে না। আশায় বুক বেঁধেছিলেন। সেই আশা পূর্ণ হয়েছে, ঘরে ফিরেছে মেয়ে। জঙ্গলের ভিতরে একা একা ১৭ দিন কাটানোর পর কপ্টার গিয়ে দুই জলপ্রপাতের মাঝখান থেকে উদ্ধার করে আনল মার্কিন তরুণী তথা হাইকার আমান্ডা এলারকে। যোগার শিক্ষিকা আলান্ডা শুধু হাইকিংয়েই নয়, স্কুভা ডাইভিংয়েও সমান পারদর্শী।
বছর পয়ঁত্রিশের আমান্ডারর শারীরিক ও মানসিক জোর নিয়ে ভরসা ছিল সকলের। উদ্ধারকারী দলের অন্যতম জেভিয়ার ক্যান্টেলপ বলেন, ‘‘ফিটনেস তো আছেই, সেই সঙ্গে স্থানীয় অরণ্যের লতাপাতা নিয়ে ওঁর অগাধ জ্ঞান রয়েছে। যেমন, কোনটা খাওয়া যায় আর কোনটা বিষাক্ত। জানতাম ও লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারবে।’’ গত আট তারিখে মহাইকিংয়ে বেরোন আমান্ডা। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। আমান্ডার খোঁজে যায় একাধিক উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। অনেকে ভয় পেয়েছিলেন, নিশ্চয় কেউ বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। জঙ্গলের মাঝখানে মেলে আম্যান্ডার গাড়ি। সূত্র বলতে ওইটুকুই। আমান্ডার খোঁজে ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি হয়েছিল। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ নানা আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে সেখানে। অপহরণের কথা বারবার উঠতে থাকে বিভিন্ন লোকের মুখে। কিন্তু তরুণীকে যাঁরা চেনেন, বিশেষ করে আম্যান্ডার মা, হাল ছাড়তে নারাজ। ডাকাবুকো মেয়ে ঠিক বেঁচে আছে, বিশ্বাস ছিল আমান্ডার মায়ের।
জুলিয়া এলার বলেন, ‘‘আমি জানতাম, ও ঠিক বেঁচে আছে। কখনও আশা ছাড়িনি। এক-এক সময়ে ভয় লেগেছে, কিন্তু নিজের মনকে শক্ত রেখেছি।মেয়ের একটি পা ভেঙেছে। তা বাদ দিয়ে আরও কিছু ছোটখাট চোট রয়েছে। মনের উপর দিয়েও ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। দু’সপ্তাহ শুধুমাত্র বুনো লতাপাতা আর নদীর জল খেয়ে বেঁচে থাকা। ১৫ পাউন্ড ওজন কমে গিয়েছে। ও বেঁচে আছে এই খবরে আনন্দে চোখে জল চলে এসেছিল। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেছে।’’
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)