হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় থাকে কিডনি, কী বলতে কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
মেডিক্যাল পেশার সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক ছিল ট্রাম্পের। সেখানেই ডায়ালিসিস নিয়ে কিছু কথা বলার সময়ে ওই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। দাবি করেন, হার্টে নাকি বিশেষ জায়গা আছে কিডনির।
ওয়াশিংটন ডিসি, ১১ জুলাই: হৃদয়ের তার কি আর সবাই জুড়তে পারে। তবে ট্রাম্প পারেন। আরে চিনলেন না? মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) কথা বলছি। জানি তো তিনি ডাক্তারও নন আবার কবি সাহিত্যিকও নন। তবে প্রেমিকপ্রবর তো বটেই। তাইতো হৃদয়ের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছেন মনুষ্য শরীরেই। আর যেমন তেমন কোনও অঙ্গ নয় একেবারে কিডনি, হ্যাঁ কিডনির (kidney) সঙ্গেই রয়েছে হৃদয়ের যোগ। একথা বলেছেন তিনি, আর বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন। তবে এমন ব্যাপার আগেও ঘটেছে। এই বিতর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে হেসে খুন নেটদুনিয়া। আরও পড়ুন-ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি, আমেরিকা সফরে হোয়াইট হাউসেই থাকবেন ইমরান খান
জানা গিয়েছে, বুধবার মেডিক্যাল পেশার সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক ছিল ট্রাম্পের। সেখানেই ডায়ালিসিস নিয়ে কিছু কথা বলার সময়ে ওই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। দাবি করেন, হার্টে (heart) নাকি বিশেষ জায়গা আছে কিডনির। এই মন্তব্যের ভিডিও টুইটারে আপলোড করেন বৈঠকে উপস্থিত এক সাংবাদিক। তাতেই দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প বলছেন ডাক্তারদের উদ্দেশ্য, ‘আপনারা কঠিন পরিশ্রম করেন। কিডনি সুস্থ রাখতে আপনাদের কর্মদক্ষতার জুড়ি নেই। হৃদপিণ্ডে কিডনির এক বিশেষ জায়গা রয়েছে।’ দেশের প্রেসিডেন্ট গুণগান গাইছেন দেখে বেশ আত্মশ্লাঘা অনুভব করছিলেন উপস্থিত ডাক্তাররা। কিন্তু কিডনি আর হৃদপিণ্ডের মেলবন্ধনের প্রসঙ্গ শুনতেই তাঁদের দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক এহেন বক্তব্যের ভিডিও করতে ভোলেননি। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই বাইরাল হয়েছে, বিবিধ মন্তব্যে ভরে উঠেছে কমেন্ট বক্স।
কেউ বলেন, ট্রাম্প হয়তো জানেনই না, কিডনি শরীরের কোনখানে থাকে। কেউ আবার বলেন, কিডনি নিয়ে হয়তো ট্রাম খুব বেশি সংবেদনশীল, তাই কিডনিকে জায়গা দিয়েছেন হার্টে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডায়ালিসিস সংক্রান্ত বক্তব্যের মাথামুণ্ডু যে কিছুই বোঝেন না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মজা করে কেু বলছেন ট্রাম্পের হার্টের মদ্যেই তাঁর কিডনি রয়ে গিয়েছে। কেউ আবার বলেন, মানুষের শরীরে হার্ট এবং কিডনির মধ্যে কতটা দূরত্ব, তা ট্রাম্পের জানা উচিত। এটুকু আশা করা যায় তাঁর কাছে।