সিংহ শিকারের পর পশুরাজের দেহের সামনেই চুম্বনে মাতল এই দম্পতি, খেপে আগুন নেটিজেনরা
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এখন ভীষণ জরুরি। শুধু বনের সৌন্দর্য রক্ষার্থেই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেউ যদি সেই রাজা রাজড়াদের আমলে ফিরে গিয়েছেন মনে করেন তাহলে দুঃখের সীমা থাকে না। যেমনটা আগে দেখা যেত, পশুরাজকে হত্যা করে তাকে একই ফ্রেমে রেখে ছবি তুলতেন রাজা বাদশাহরা। ঠিক এমন কাজ করেই বেজায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে এক কানাডিয়ান দম্পতি।
টরন্টো, ১৬ জুলাই: বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এখন ভীষণ জরুরি। শুধু বনের সৌন্দর্য রক্ষার্থেই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেউ যদি সেই রাজা রাজড়াদের আমলে ফিরে গিয়েছেন মনে করেন তাহলে দুঃখের সীমা থাকে না। যেমনটা আগে দেখা যেত, পশুরাজকে হত্যা করে তাকে একই ফ্রেমে রেখে ছবি তুলতেন রাজা বাদশাহরা। ঠিক এমন কাজ করেই বেজায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে এক কানাডিয়ান দম্পতি। সিংহ মেরে তার মৃতদেহ সামনে রেখে গভীর চুম্বনে ডুবে গিয়েছেন ডারেন এবং ক্যারোলিন কার্টার। তাতেই চটেছে নেটিজেনরা। আরও পড়ুন-খরস্রোতা ঝিলমে ভাসছে কিশোরী, ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করলেন দুই জওয়ান(দেখুন ভিডিও)
একসময় অহরহ বন্যপ্রাণী হত্যা করা ছিল সম্মানের এখন কিন্তু ঘোরতর অপরাধের। বরং বেশিরভাগ মানুষই আজকের দিনে বন্যপ্রাণ বাঁচাতে সচেতনতা দেখান। তবে সবাই যে সে দলে পড়েন না তবে তার অন্যতম প্রমাণ এই কানাডিয়ান দম্পতি। এদিকে নানা কারণে জঙ্গল থেকে বিলীন হচ্ছে পশুপাখিরা। দেখেও চোখ বুজে অন্যা. করে যাচ্ছে সভ্য সমাজের একাংশ। কানাডার এক দম্পতি এমন এক কাণ্ড করেছেন, আপাতত সেই প্রশ্নই উঠে আসছে। তাঁরা ল্যাগেলিলা সাফারি বুক করে বেড়াতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত কালাহারি মরুভূমিতে। এই সাফারিতে শিকারের সুযোগও দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে একটি সিংহকে গুলি করে হত্যা করেছেন তাঁরা। এরপরেও তাঁদের কোনও বোধ জাগেনি, সেই মৃত সিংহের দেহ সামনে রেখে আবেগে ডুবে থেকে দুজনে চুমু খেয়েছেন। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। চলছে কার্টার দম্পতির মুণ্ডুপাত।
তবে এসব কিছুতে ল্যাগেলিলা সাফারির কোনও হেলদোল নেই। তারা নাকি নিজেদের সাইটে এই ছবি সবসময় প্রকাশ করে। অভিযাত্রীদের শিকারের সুযোগ করে দেওয়াটাই তাদের কাজ। এক্ষেত্রেও তারা ডারেন এবং ক্যারোলিন কার্টারের সেই বহু নিন্দিত ছবির ক্যাপশনে দিয়েছে, “কালাহারির প্রখর তাপে কঠিন কাজ….দারুণ ব্যাপার, দৈত্যাকার সিংহ”। এই ছবি দেখে গোটা বিশ্বেই আলোড়ন পড়েছে। লাগেরিলার সমালোচনায় মুখর হয়েছে অন্যান্য ট্যুর অপারেটররা। তবে এনিয়ে কোনও সংবাদ মাধ্যমের সামনেই মুখ খোলেনি ওই দম্পতি।