Girl Born With A TAIL: অবিশ্বাস্য! প্রায় ৬ সেন্টিমিটারের লেজ নিয়ে জন্ম নিল কন্যা
মেক্সিকোতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটেছে বলেও দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। আর গোটা বিশ্বে এই ধরনের ঘটনার উদাহরণ রয়েছে ২০০টিরও কম।
মেক্সিকো সিটি: অবিশ্বাস্য একটি ঘটনার সাক্ষী হলেন মেক্সিকোর (Mexico) একটি হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসকরা (doctors)। গর্ভবতী এক মহিলাকে প্রসব করালেন প্রায় ৬ সেন্টিমিটার লেজ-সহ জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানকে (Girl child)। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি (Girl Born With A TAIL) প্রকাশ্যে আসার পরে হতবাক হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি মেক্সিকোর নিউইভো লিওন (Nuevo Leon) নামক একটি গ্রামীণ (rural) এলাকার হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন প্রায় ৩০ বছর বয়সী এক যুবতী। একটু মোটাসোটা ওই যুবতীকে সিজার অপারেশনের (C-section) মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর তারপরই তারা লক্ষ্য করেন, সদ্য জন্ম নেওয়া ওই কন্যা সন্তানের কোমরের নিচের অংশে ৫.৭ সেন্টিমিটার বা ২.২ ইঞ্চির একটি নরম লেজ (soft tail) ত্বক (skin) ও সূক্ষ চুলের (fine hair) আড়ালে (covered) লুকিয়ে আছে। ছোট্ট একটি অপারেশনের সাহায্যে শিশুটির শরীর থেকে ওই লেজটি কেটে বাদ দেন । বর্তমানে শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁরা প্রকাশ করেছেন জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক সার্জারি কেস রিপোর্টে (Journal of Paediatric Surgery Case Reports)। সেখানে তাঁরা মেক্সিকোতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটেছে বলেও দাবি করেছেন। আর গোটা বিশ্বে এই ধরনের ঘটনার উদাহরণ রয়েছে ২০০টিরও কম।
চিকিৎসকদের কথায়, গর্ভাবস্থার চার থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে সব ভ্রূণেরই ছোট লেজ থাকে। তবে অ্যাপোপটোসিসের সময় (অপ্রয়োজনীয় কোষের মৃত্যু) এটি একটি টেলবোনে পরিণত হয়। আর জন্মের সময় সেই লেজের কোনও চিহ্নই থাকে না। বিজ্ঞানীরা এই ছদ্ম-লেজকে উল্লেখ করেছেন, মূলত অ্যাডিপোজ বা কার্টিলাজিনাস টিস্যু এবং হাড়ের উপাদানগুলির উপস্থিতিতে গঠিত প্রোটিউবারেন্স হিসেবে।