Vitamin-E Benefits: ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী, জেনে নিন ভিটামিন ই-এর সম্পূর্ণ উপকারিতা এবং কী উপায়ে ব্যবহার করতে হবে ভিটামিন ই...
ভিটামিন ই হল একটি চর্বি দ্রবণীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল। যেমন কেউ কেউ ওষুধের মতো জল দিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেয়ে নেয়, আবার কেউ কেউ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফেস প্যাক বা অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল সঠিকভাবে ত্বকে প্রয়োগ করা না হলে, এটির প্রভাব লক্ষনীয় হয় না। তাই এই ক্যাপসুলটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই জরুরি।
ত্বকের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন ই। এছাড়া কম বয়সে হওয়া বয়সের ছাপ কমায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক মেরামত করে ভিটামিন ই। ডিহাইড্রেটেড বা শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ই ক্যাপসুল। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই তেল ত্বকে ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। ত্বকে ব্যবহার করার জন্য উচ্চ মানের ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিনতে হবে। ত্বকে ভিটামিন ই লাগানোর আগে প্রথমে সামান্য একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে কিনা। ভিটামিন ই-এর ভালো ফল পেতে মুখের ত্বক ভালো করে ধোয়ার পর ব্যবহার করতে হবে এই ক্যাপসুল।
একটি পরিষ্কার সুচ বা সেফটিপিন ব্যবহার করে, ভিটামিন ই ক্যাপসুলে একটি ছিদ্র করে আঙ্গুলে বা তালুতে বের করে মুখে মেখে নিতে হবে। এরপর খুব আলতোভাবে ঘষে ম্যাসাজ করতে হবে। চোখের কাছাকাছি অংশে খুবই হালকা করে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মতো রেখে ধুয়ে ফেলা যেতে পারে, আবার সারারাত মুখে রেখে পরের দিন মুখ ধুয়ে ফেলা যেতেও পারে। মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল লাগানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল এটি। তবে অ্যালোভেরা, গোলাপজল বা কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল।