জানেন কি বছরে ১৬ হাজার লোককে ফ্রিতে খাবার দেয় এই রেস্তরাঁ?

বিনামূল্যেও রেস্তরাঁতে মিলছে খাবার, মালিক নিজেই এমন কাস্টমারকে ডেকে বসিয়ে খাবার খাওয়াচ্ছেন। ঘটনাস্থল ওয়াশিংটন-ডিসির অদূরে রেস্তরাঁ সাকিনা হালাল গ্রিল(Sakina Halal Grill )।

রেস্তরাঁ মালিক কাজি মান্নান (Photo Credit: Twitter)

রেস্তরাঁয় খেতে গেলেন কবজি ডুবিয়ে ভালমন্দ ভক্ষণের পর চোখ বুজে একবার তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেন। তারপর তো পার্স বের করে বিল মেটানোর পালা, আচ্ছা এমন যদি হত পেট ভরে চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় পাকস্থলীতে চালান করার পরও দিব্বি হোটেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে গেলেন, একটাও টাকা লাগল না। বেশ হত তাই না? আরে “সোনার পাথর বাটিতে কাঁঠালের আমসত্ব” খাওয়ার কথা বলিনি। এমনটাই ঘটেছে আমেরিকাতে। বিনামূল্যেও রেস্তরাঁতে মিলছে খাবার, মালিক নিজেই এমন কাস্টমারকে ডেকে বসিয়ে খাবার খাওয়াচ্ছেন। ঘটনাস্থল ওয়াশিংটন-ডিসির অদূরে রেস্তরাঁ সাকিনা হালাল গ্রিল(Sakina Halal Grill )।

পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত কাজি মান্নান(Kazi Mannan) হলেন রেস্তরাঁর মালিক, তাঁর নির্দেশেই প্রতিদিন অনেককেই বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করেন রেস্তরাঁর কর্মীরা। ২০১৩ সালে হোয়াইটহাউস(The White House) থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রেস্তরাঁটি চালু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রথম দিন থেকেই মান্নান সাহেব এই নীতি নিয়েছেন যে, শুধু পয়সা দিয়েই নয় বিনামূল্যেও অনেকে এখানে লাঞ্চ, ডিনার বা প্রাতরাশ সারতে পারেন। অর্থাৎ যাঁদের কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই তাঁরা অভু্ক্ত না থেকে এই রেস্তরাঁয় এসে আতিথ্য গ্রহণ করতে পারেন। রেস্তরাঁ মালিক প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত ৮০ হাজার কাস্টমারকে বিনামূল্যে খাবার খাইয়েছেন।

মানবিকতার এহেন নিদর্শন বড় একটা চোখে পড়ে না। এমনি এমনি আমেরিকার মতো দেশে ওয়াশিংটন-ডিসির(Washington DC) মতো শহরে বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন হচ্ছে ভাবলেও খটকা লাগে। তবে খটকার কিছু নেই, রেস্তরাঁ মালিক মান্নান সাহেব বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন। কিন্তু ফেলে আসা সংগ্রামের দিনগুলিকে একেবারেই ভুলতে পারেননি। এই দিনগুলিই তাঁকে এগিয়ে চলার রসদ জোগায়। ছেলেবেলায় খাবার না পেয়ে অভুক্ত থাকতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। কতদিন যে আধ পেটা খেয়ে কেটেছে তার হিসেব নেই। জল খেয়ে পেট ভরিয়েও কাজ করেছেন। তবে চাননি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অভুক্ত থাকার যন্ত্রণা সহ্য করুক, তাইতো নিজের সামর্থ্যে আজ আমেরিকার বাসিন্দা তিনি, সঙ্গে এমন ঝা চকচকে রেস্তরাঁ, যেটি সবসময় কাস্টমারের ভিড়ে গমগম করে। না খেয়ে থাকার দুঃখটা ভালমতো অনুভব করেন বলেই নিজের রেস্তরাঁয় অভুক্তদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার প্রথাটি চালু করেছেন। বছরে অন্তত ১৬ হাজার এমন লোককে খাবার দিতে চান তিনি, সেই লক্ষ্যে অবিচলও রয়েছেন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now