কনে ছাড়াই ছাদনাতলায় বর, এ কেমন বিয়ে?

কনে ছাড়া কি ছাদনতলা(Marriage Hall) মানায়, তবে তাতেকি বিয়ে তো হল। কনে ছাড়াই বরের সাজগোজ করে মনের আশা পূরণ করলেন যুবক। এমনই অভিনব ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের হিম্মতনগরে।

কনে ছাড়াই বিয়ের পিঁড়িতে বর(Photo Credit: ANI Twitter)

কনে ছাড়া কি ছাদনতলা(Marriage Hall) মানায়, তবে তাতেকি বিয়ে তো হল। কনে ছাড়াই বরের সাজগোজ করে মনের আশা পূরণ করলেন যুবক। এমনই অভিনব ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের হিম্মতনগরে।  ২৭ বছরের অজয় বারোত(Ajay Barot) মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই তাঁর বিয়ের চেষ্টা কেউ কখনও করেইনি। কিন্তু তাবলে কী মনের সাধ থাকতে পারে না, অজয়ের তো ছিল। তাই খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ে দেখেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তিনি। বিয়ের ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। অসুস্থ ছেলের ইচ্ছে রাখতে আয়োজনের ত্রুটি করেননি বাবা-মা। ধুমধাম করে সবই হল, দানপত্র খাওয়াদাওয়া, শুধু কনেই এল না। আসলে কনে তো পছন্দই করা হয়নি। পাগলকে আর কেই বা করবে বিয়ে, এমনটা মাথায় ছিল বলেই বাবা-মা ছেলের ইচ্ছে পূরণ করেন।

বিয়ে পাগল অজয় দাদার বিয়ে দেখার পর জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান হোক তাঁরও। বাড়ির ছেলের সেই ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করা হয়নি। বরং তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, একদিন তাঁর ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হবে। অবশেষে সেই দিন উপস্থিত অজয়ের জীবনে। তাঁর জন্য কনে পাওয়া না গেলেও বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানে এতটুকু ফাঁকি দেওয়া হয়নি। শেরওয়ানি গায়ে চাপিয়ে ঘোড়ার পিঠে উঠে আসরে হাজির হন তিনি। মেহেন্দি থেকে সংগীত, সমস্ত অনুষ্ঠানই হয় ঘটা করে। এছাড়াও গুজরাটি পরিবারের বিবাহের সব নিয়মই পালন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, অজয়ের বিয়েতে ২০০ জনকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোও হয়। কিন্তু কেন এমন এলাহি আয়োজন?

অজয়ের বাবা বলেন, “আমার ছেলের বোধ স্বাভাবিক নয়। ওর চিকিৎসা চলছে। খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে। অল্প বয়স থেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে ভালবাসত। কোনও নিমন্ত্রণ মিস করত না। আর নিজের বিয়ে কবে হবে জিজ্ঞেস করত। ঠিক করেছিলাম, ভালভাবে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব ওর। যাতে ওর মনে হয় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।” মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলের সঙ্গে কোনও বাবাই তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে চাইবেন না। তাই বলে কি অজয়ের ইচ্ছেপূরণ হবে না? তেমন তো হয় না। সেই জন্যই এমন উদ্যোগ।

 



@endif