১০টি করে চারা গাছ রোপণ, তাহলে ব্যাচেলর ডিগ্রির শংসাপত্র পাবেন ফিলিপিন্সের পড়ুয়ারা, কিন্তু কেন?
এবছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেন বুঝি। তার মানে আর তিনটে বছর কাটলেই গ্রাজুয়েটটা সম্পূর্ণ হবে। ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে চাকরির ইঁদুর দৌড়ে নিজেকে শামিল করবেন। সব ঠিক আছে, কিন্তু এই তথ্য কী জানা আছে যে ১০টা চারা গাছ না পুঁতলে আপনি গ্রাজুয়েটই হবেন না।
এবছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেন বুঝি। তার মানে আর তিনটে বছর কাটলেই গ্রাজুয়েটটা সম্পূর্ণ হবে। ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে চাকরির ইঁদুর দৌড়ে নিজেকে শামিল করবেন। সব ঠিক আছে, কিন্তু এই তথ্য কী জানা আছে যে ১০টা চারা গাছ না পুঁতলে আপনি গ্রাজুয়েটই ( graduate) হবেন না। আরে দুশ্চিন্তার কী আছে? চারাগাছ পোঁতা তো হাতি ঘোড়া কাজ নয়, সৃজনশীলতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যা দূষণ রোধে পৃথিবী-সহ আমি তুমি আমরা সবাই শান্তিতে বাঁচব। এই যদি ভারতের লক্ষ্য হয়, তাহলে আগামীর ভবিষ্যৎ সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে।
তবে এমন অভিনব আইন চালু হয়েছে ফিলিপিন্সে (Philippines) । সেদেশে গ্রাজুয়েট হতে গেলে ১০টি চারাগাছ পুঁততেই হবে, নাহলে শিক্ষার্থীর শংসাপত্র ব্যাচেলর ডিগ্রির মান্যতা পাবে না। এই নতুন আইনের নাম ‘গ্র্যাজুয়েশন লেগেসি ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট অ্যাক্ট’। গত ১৫ ই মে এই আইনটি পাশ করা হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১৭৫ মিলিয়ন নতুন গাছ লাগানো সম্ভব হবে। কারণ প্রতি বছরই প্রায় ১২ মিলিয়ন শিক্ষার্থী প্রাথমিক, ৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক এবং ৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে সেখানে। এসব গাছের সঠিক দেখভাল হলে এরা অন্তত ১০ শতাংশও যদি বেঁচে যায়, তাহলে তো ৫২৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে গাছের সংখ্যা। বলছেন ফিলিপিন্সের ম্যাগডোলা পার্টির মুখপাত্র ও এই আইনের লেখক গ্রে অ্যালিজানো।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ঠিক করা হয়েছে, ম্যানগ্রোভ অঞ্চল, সেনা-এলাকা, নির্দিষ্ট কিছু শহর, সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে এসব গাছ লাগানো হবে। এক্ষেত্রে দেশের গাছের চারাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। ফিলিপিন্সের সরকার এমনও বলেছে যে, এলাকা অনুয়ায়ী কোথায় কোন গাছ লাগানো হবে তা ঠিক করা হবে। সে দেশের শিক্ষা অধিদফতর এবং উচ্চ শিক্ষা কমিশন একসঙ্গে এই ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছে। ফিলিপিন্সের ইতিহাস বলছে ওখানে এত বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে শেষ বেশ কিছু বছর ধরে যে, ৭০ শতাংশ বন ২০ শতাংশে এসে ঠেকেছে। আর তাই ফিলিপিন্স বন্যা এবং ভূমিকম্পে জেরবার হয়েছে বারবার। তাই এই পথেই মুক্তি খুঁজছে ফিলিপিন্স।