World Asthma Day 2024: বিশ্ব হাঁপানি দিবস কবে? জেনে নিন এই দিনের ইতিহাস ও গুরুত্ব...

প্রতি মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার সারা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল হাঁপানি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা সহ মানুষের মধ্যে হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি দ্বারা আয়োজন করা হয় এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি। ২০২৪ সালে বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালন করা হবে ৭ মে। চলুন এই উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক বিশ্ব হাঁপানি দিবসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

হাঁপানি মূলত ফুসফুসের একটি রোগ। দূষণ, ধূলিকণা, ধোঁয়া বা নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার কারণে বা কোনও নির্দিষ্ট বস্তুর সংস্পর্শে আসার কারণে ফুলে যায় বা সরু হয়ে যায় শ্বাসযন্ত্রের টিউবগুলি এবং বায়ুপথে তৈরি হয় বেশি শ্লেষ্মা, যার ফলে কষ্ট হয় শ্বাস নিতে। এই রোগটি কখনও কখনও বড় সমস্যা বা মারাত্মকও হতে পারে। তাই হাঁপানির লক্ষণ বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। যেকোনও সময় আসতে পারে হাঁপানির অ্যাটাক। হাঁপানি লক্ষণগুলি হল বুকে অস্বস্তি, শ্বাস ছাড়ার সময় আওয়াজ হওয়া, রাতে ঘুমানোর সময় শ্বাসকষ্ট এবং কাশি। হাঁপানি রোগীদের অন্যান্য হাঁপানি রোগীদের সংস্পর্শে থাকা উচিত নয়। অ্যালার্জি রয়েছে এমন খাবার, সুগন্ধি, ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কাজ একদমই করা উচিত নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী সংস্থা গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা, এই হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৮ সালে প্রথমবার পালন করে ছিল বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এই দিনটি পালন করার জন্য মে মাসটি বেছে নেওয়ার কারণ হল এই সময়টি ছিল বসন্ত এবং শরতের মধ্যবর্তী সময়, এই সময় হাঁপানির লক্ষণগুলি বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি একটি অতি প্রাচীন রোগ, এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ২৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ। জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর এই রোগের কারণে মৃত্যু হয় ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের।