Weight Loss Diet: ভাত বা রুটি, ওজন কমাতে কি খাওয়া উপকারী? জেনে নিন ওজন কমানোর ডায়েট সম্পর্কে...
ওজন কমাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডায়েট। জীবনযাত্রার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। তাই ওজন কমানোর জন্য প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ভাত ও রুটি। অনেকের ভাত ও রুটি ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ মনে হয়, তাই সকালের নাস্তায় খায় রুটি বা পরোঠা এবং দুপুরে খায় ভাত। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য প্রথম প্রশ্ন জাগে ভাত ও রুটির মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে প্রথমে জেনে নেওয়া উচিত ভাত এবং রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
চাল অনেক ধরনের হয়, বাদামী এবং সাদা। ভারতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় সাদা চাল। ১০০ গ্রাম সাদা চালে রয়েছে ৩৫৬ কিলোক্যালরি, ৭৮.৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭.৯ গ্রাম প্রোটিন, ২.৮ গ্রাম ফাইবার, ৭০-৮০ (উচ্চ) গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI)। অন্যদিকে গমের আটা থেকে তৈরি করা হয় রুটি। ১০০ গ্রাম গমের রুটিতে রয়েছে ৩২০ কিলোক্যালরি, ৬৪.১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৫ গ্রাম প্রোটিন, ১১.৩ গ্রাম ফাইবার, ৫৫-৬০ (মাঝারি) গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI)।
ক্যালোরি বেশি থাকে ভাতের চেয়ে রুটিতে, অর্থাৎ রুটি কম খাওয়া উCrচিত। রুটির তুলনায় ভাতে কম পুষ্টি থাকে, তাই পুষ্টির জন্য রুটির তুলনায় ভাত প্রচুর খেতে হয়। এর ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রুটিতে বেশি ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। ফাইবারের কারণে, দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ বোধ হয় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। এছাড়া ফাইবার রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। রুটিতে উপস্থিত প্রোটিন ওজন কমানোর সময় পেশীর ভর বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার এবং প্রোটিন উভয়ই ভাতে কম পাওয়া যায়, যার কারণে ওজন কমানোর জন্য ভাতের থেকে রুটি উপকারী।