ঘামে ভেজা শরীরে যৌনমিলন আসলে চরম সুখের চাবিকাঠি

একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে উপভোগ্য শীতের চেয়েও নাকি ঘামে ভেজা শরীরে যৌন মিলন অনেক বেশি সুখকর। আর এর প্রধান হোতা মেলাটোনিন। রোদ যত চড়া হয় মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে ততই কমতে থাকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ। এই পরিবেশেই বাড়তে থাকে যৌন হরমোনের ক্ষরণ। যা আদতে যৌন- মিলনের ইচ্ছাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

আম-কাঁঠাল পাকানো গরমে বঙ্গবাসী বড়ই বিচলিত। ঘরেবাইরে কোনওভাবেই স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে পূর্বাভাস, এবছর গরম নাকি রেকর্ড গড়বে। ভাবছেন তো, সব এনার্জিই বুঝি ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাবে। এতেই হতাশ হবেন না, শোনা যাচ্ছে, রোদ যত চড়া হবে ততই বাড়বে যৌন তৃপ্তি। যৌনতার সঙ্গে ‘হট’ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তা সে শরীরী উষ্ণতা হোক বা পরিবেশের। তাই মে, জুনে  বাড়তে থাকা পরিবেশের তাপমাত্রাই যৌন রসায়নে অনুঘটক হিসাবে কাজ করে বলে দাবি করেছেন শরীরবিদরা। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে উপভোগ্য শীতের চেয়েও নাকি ঘামে ভেজা শরীরে যৌন মিলন অনেক বেশি সুখকর। আর এর প্রধান হোতা মেলাটোনিন(Melatonin)। রোদ যত চড়া হয় মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে ততই কমতে থাকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ। এই পরিবেশেই বাড়তে থাকে যৌন হরমোনের ক্ষরণ। যা আদতে যৌন- মিলনের  ইচ্ছাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। শুধুই কামনা সৃষ্টি নয়, মিলনকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি উপভোগ্যও করে তোলে।

বিজ্ঞানীদের মতে, মেলাটোনিনবিহীন যৌনতাই ফের আরেকবার ‘মর্নিং সেক্স’-(Morning Sex)এর পক্ষে সওয়াল করছে। আমেরিকার যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারথা তারা লির গবেষণায় যৌনসুখের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে ভিটামিন-ডি’র ভূমিকা। দেখা গিয়েছে ভিটামিন-ডি কেবল হাড়ের গঠন মজবুত করে না, সেই সঙ্গে যৌনতাবর্ধকও। এখানেও রয়েছে রোদের ভূমিকা। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ত্বকে ভিটামিন-ডি সংশ্লেষ হয়। অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ গ্রাজের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষের প্রতি মিলিলিটার রক্তে ভিটামিন-ডি’র উপস্থিতি যত বাড়ে ততই বেশি পরিমাণ ক্ষরণ হতে থাকে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন(Testosterone)। যা পুরুষের যৌন ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। শুধু পুরুষ নয়। ভিটামিন-ডি’র প্রভাবে মহিলাদের শরীরেও ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বেশি হয়। যা কামোন্মাদনা বাড়ায়।

এদিক উজ্জ্বল আলোয় মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিন(Serotonin) হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।  আর এই হরমোন গ্ল্যামারের পাশাপাশি যৌন উদ্দীপনাকেও বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যতবেসি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসবেন ততবেশি সেরোটোনিন ক্ষরণ হবে , এর জেরে বাড়বে যৌনসুখও।