History of Coffee: 'কফি'র বীজ চুরি করে আনা হয়েছিল ভারতে, জেনে নিন কফির মজার ইতিহাস...

Credits: Unsplash

বর্তমান যুগে বড় স্তরে চলছে কফির বাণিজ্য। কফির স্বাদ প্রায় সকলের খুব পছন্দের, যার কারণে কফি একপ্রকারের নেশায় পরিণত হয়েছে সকলের। কফিতে চুমুক দিয়ে শুরু হয় দিন। এছাড়া কাজের চাপ বা মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় কফি। শুরুতে কফি নিষিদ্ধ করা হলেও বর্তমানে কোটি কোটি হৃদয়ে রাজত্ব করছে কফি। বর্তমান যুগে বিভিন্ন ধরনের কফি পাওয়া যায়। যেমন- কালো কফি, ক্যাপেচিনো, ল্যাটে, এসপ্রেসো, ইতালীয়ান এসপ্রেসো, আমেরিকানো, তুর্কি এবং আইরিশ। বাজারে অনেক বিখ্যাত ব্র্যান্ড রয়েছে, তবে এই বিভিন্ন ধরনের কফির সঙ্গে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে পাওয়া কফিও খুব জনপ্রিয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯ শতকে ইথিওপিয়ার মানুষ কফির খোঁজ করেছিল। এই সম্পর্কে একটি কাহিনী বেশ জনপ্রিয়। কথিত আছে, একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি গ্রামে, ছাগলদের চড়াছিল একটি রাখাল‌। এমন সময় রাখাল দেখতে পায় ঝোপের মধ্যে থাকা কিছু গাছ খাওয়ার পর লাফালাফি শুরু করে ছাগলগুলি। কৌতূহলের জেরে রাখাল নিজেও সেই গাছ খেয়ে নেন এবং কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান সতেজ অনুভব করতে শুরু করেছেন তিনি এবং সারাদিনের ক্লান্তি অনেকাংশে কমে গিয়েছে। মনে করা হয় এই ঘটনা কফিকে একটা বড় স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও কথিত আছে যে তুর্কি রাষ্ট্রদূত সুলেমান আগা প্যারিসের রাজদরবারে কফির প্রচলন করেছিলেন। এরপর সেখানকার মানুষ কফি সম্পর্কে এতটাই পাগল হয়ে ওঠে যে ১৭১৫ সাল নাগাদ শুধুমাত্র লন্ডনেই খোলা হয় ২০০০ টিরও বেশি কফি হাউস।

১৩ শতকে ইয়েমেনে কফি পান করা শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। প্রথমে সুফি ও ধর্মীয় অনুসারীরা কফির বীজকে মাটিতে ফেলে জলে সিদ্ধ করে পান করা শুরু করেন। এইভাবে কফি পান করার ফলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং ধর্মীয় আলোচনার সময় মনকে শান্ত রাখে। এছাড়া শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে এই পানীয়টি খুব জনপ্রিয়। সেই সময়ে কফি হাউস খুলতে শুরু করে গোটা আরবে। ১৭ শতকের শেষে শুধুমাত্র উত্তর আফ্রিকা এবং আরব দেশগুলিতে চাষ করা হত কফি। তখন কফি ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করত কফি চাষের ফর্মুলা কোনও অবস্থাতেই অন্য কোনও দেশ যেন না জানতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৬০০ সালের দিকে একজন সুফি তীর্থযাত্রী বাবা বুদান আরব থেকে সাতটি কফির বীজ চুরি করে কোমরে বেঁধে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরু জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এরপর তিনি এটি দক্ষিণ ভারতের মহীশূরে রোপণ করেন এবং প্রথমবার ভারতের মানুষ কফির স্বাদ গ্রহণ করেন।