Covid Pandemic Again? : চিনের নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্ক করার কিছু নেই, এটি সাধারণ ভাইরাসের প্রভাব -বললেন এইমস চিকিৎসক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আশ্বস্ত করে চিন জানিয়েছে বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে প্রকোপ দেখানো নিউমোনিয়া নিয়ে বাড়তি উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। । বেজিংয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, নতুন করে যে নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেটা মোটেই বাড়তি চিন্তার নয়। তার কারণও অজানা নয়।
ভয়াবহ মহামারি করোনার (Coronavirus) ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই এবার রহস্যময় নতুন এক নিউমোনিয়ার খপ্পরে চিন। বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের খবরে আসা নিউমোনিয়া নতুন করে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা। হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। দেখা দিচ্ছে জায়গার সংকুলান। রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার-নার্সরা। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, করোনার সময় যেমন চিন-সহ গোটা বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থায় সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, চিনের কিছু কিছু এলাকার হাসপাতালে এই ‘অজানা’ নিউমোনিয়ার (Pneumonia) জেরে সেই একই পরিস্থিতি।অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, দৈনিক অন্তত ৭,০০০-এর বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। নতুন এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।ইতিমধ্যেই পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে বেজিং এবং লিয়াওনিংয়ের বেশ কিছু স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
চিনের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঘটনার খবর সামনে আসতেই উদ্বিগ্ন ভারত সহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলিও। তবে এইমসের চিকিৎসক এস খাবরা (Dr. S K Khabra, AIIMS doctor)জানিয়েছেন চিনের শ্বাসকষ্টজনিত এই রোগ সাধারন ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে, এখনও যা পরিস্থিতি তাতে এই রোগের ফলে কোভিড-এর মতো মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমাদের স্বচ্ছতা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে। কোন শিশুর অজানা রোগ হলে তাঁকে স্বাভাবিক ভাবে কোয়ারেন্টিনের থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আশ্বস্ত করে চিন জানিয়েছে বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে প্রকোপ দেখানো নিউমোনিয়া নিয়ে বাড়তি উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। । বেজিংয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, নতুন করে যে নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেটা মোটেই বাড়তি চিন্তার নয়। তার কারণও অজানা নয়।চিনা প্রশাসন WHO-কে জানিয়েছে, এই নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এটা নতুন কোনও প্যাথোজেন বা কোনও নভেল ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়নি। সাধারণ জীবাণুর প্রকোপেই শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া এর প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও সত্যি নয়।