Coronavirus: করোনাভাইরাসের উৎস থেকে লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সারা বিশ্বের (World)। এদেশে তেমন প্রভাব না পরলেও উত্তরের দেশ চিনে (Chaina) ইতোমধ্যে এই মারণ ভাইরাস (Virus) মহামারির আকার নিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল সোমবার পর্যন্ত যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮০ তে, সেখানে আজ মঙ্গলবারের পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০তে। এদিকে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫০০ বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।ছড়ালো, চীনে কেন?একটি ভাইরাস- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- এর মধ্যেই চীনে অনেক মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে এবং অন্যান্য দেশেও এটি ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, চিনের উহানে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রথম সনাক্ত হয় এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সারা বিশ্বের (World)। এদেশে তেমন প্রভাব না পরলেও উত্তরের দেশ চিনে (Chaina) ইতোমধ্যে এই মারণ ভাইরাস (Virus) মহামারির আকার নিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল সোমবার পর্যন্ত যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮০ তে, সেখানে আজ মঙ্গলবারের পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০তে। এদিকে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫০০ বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।ছড়ালো, চীনে কেন?একটি ভাইরাস- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- এর মধ্যেই চীনে অনেক মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে এবং অন্যান্য দেশেও এটি ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, চিনের উহানে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রথম সনাক্ত হয় এই ভাইরাস।
জানুন এই মারণ ভাইরাসের উৎস কী?
২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। এসব মৃত্যুর ব্যাপারে এর মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। রোগীদের শরীরে নিউমোনিয়া তৈরি করছে, এমন একটি ভাইরাস সবসময়েই উদ্বেগজনক। ফলে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা চরম সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। প্রাণীর দেহে ওই ভাইরাসটির জিনগত গঠন যেরকম ছিল তাতে সে পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষের শরীরে আশ্রয় নিতে পারে। নতুন পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য ভাইরাসটিকে নিজের গঠনে কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনা বিরল এবং এই প্রক্রিয়ায় করোনাভাইরাস যখন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তখন সেটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। সব ধরনের করোনাভাইরাসই অতটা বিপদজনক নয়। কিন্তু যেসব ভাইরাস পশুপাখি থেকে মানুষে চলে আসতে পারে সেগুলো খুবই বিপদজনক হয়। যখন একটি ভাইরাস এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতিতে চলে যায় তখন আগে থেকে ধারণা করা যায় না যে এটি ঠিক কী ধরনের কাণ্ড ঘটাবে। তবে এটি তার নতুন আবাসস্থলে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়েই মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এর পেছনে কারণ হচ্ছে, যখন ভাইরাসটি কোন প্রাণী থেকে হঠাৎ মানুষের শরীরে গিয়ে প্রবেশ করে, তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা তাকে চিনতে পারে না। চিন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চিনা সাপ (Poisonous Chinese Snake) ক্রেইট (Crait) এবং কোবরা বা গোখরো (Cobra)। করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির (Bird) শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর আগে ২০১৯ সালে চিনের হুয়ান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এই ভাইরাসটি যে প্যাথোজেন পরিবারের, তার নাম করোনাভাইরাস, যার কারণে এর আগে সার্স ও মার্স ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল।
লক্ষণগুলো কতটা মারাত্মক?
এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর (Fever), সর্দি (Cold), শ্বাসকষ্ট (Breathing Problems) উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। প্রতি চারজনের মধ্যে অন্তত একজনের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে যায় বলে মনে করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যেমনটি তারা করেছিল সোয়াইন ফ্লু এবং ইবোলার সময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমস্যা হয়। আরও পড়ুন: Coronavirus Update: চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪,৫০০ জন, মৃত বেড়ে ১০৬
চিকিৎসা কি আছে?
ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে আসে কিন্তু মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে না। দুঃসংবাদ হচ্ছে এর কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নেই। ভাইরাসনাশক ওষুধের সংখ্যা খুবই কম। তবে রোগের শিকার না হতে হাত ধোওয়া এবং টিস্যু ব্যবহার করার মত স্বাস্থবিধি মানতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদেরকে সব ধরনের ক্ষতিকর জীবাণু থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উচিত প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়ে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা পরিবেশন। আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, রোগীদের ভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানতে এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসা লোকদের সনাক্ত করার জন্যও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড বা নজরদারি ব্যবস্থার প্রয়োজন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)