Marathi Bhasha Gaurav Diwas 2025: কেন পালিত হয় মারাঠি ভাষা গর্ব দিবস? জেনে নিন মারাঠি ভাষা গর্ব দিবসের ইতিহাস এবং গুরুত্ব...

প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে পালন করা হয় মারাঠি ভাষা গৌরব দিবস, যা মারাঠি ভাষা দিবস নামেও পরিচিত। এই দিনটি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সাহিত্যিক ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব উদযাপনেরও দিন। মারাঠি ভারতের ২২টি সরকারী ভাষার মধ্যে একটি এবং বিশ্বব্যাপী ৮৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কথা বলে এই ভাষায়। ভারতের সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে একটি মারাঠি। এই ভাষার মোট ৪২টি উপভাষা রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল বৈদর্ভি, জাদি বলি, কোঙ্কানি এবং খান্দেশী। মারাঠি ভাষার বাক্য গঠন এবং ব্যাকরণ প্রাকৃত ও পালি ভাষা থেকে উদ্ভূত। মহারাষ্ট্র রাজ্য সাংস্কৃতিক নীতি ২০১০ সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কবি কুসুমাগ্রজের মূল্যবান অবদানের সম্মানে ২৭ ফেব্রুয়ারিকে 'মারাঠি ভাষা গৌরব দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। ২০২৫ সালে বিখ্যাত কবি বিষ্ণু বামন শিরওয়াদকরের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মদিনে পালন করা হয় মারাঠি ভাষা গৌরব দিবস।

বিষ্ণু বামন শিরওয়াদকরের জন্ম হয় ১৯১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং মৃত্যু হয় ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ। বিষ্ণু বামন শিরওয়াদকরের জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয় মারাঠি ভাষা গৌরব দিবস। কুসুমগ্রজ নামেও পরিচিত বামন শিরওয়াদকর। কুসুমাগ্রজ ছিলেন একজন বিখ্যাত মারাঠি কবি এবং লেখক। এছাড়াও তিনি একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন। উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প এবং নাটকের বিভিন্ন ধারায় অবদানের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। মারাঠি ভাষাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কুসুমাগ্রজ। তিনি মারাঠি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে নিশ্চিত করার জন্যও লড়াই করেছিলেন। সাহিত্যিক কিংবদন্তি কুসুমাগ্রজ এবং মারাঠি সাহিত্য ও সামাজিক সংস্কারের প্রচারে তাঁর নিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালন করা হয় মারাঠি ভাষা গৌরর দিবস। নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মারাঠি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও পালন করা হয় এই দিনটি। বিশ্বজুড়ে অনেক মারাঠি-ভাষী সম্প্রদায়ের মধ্যে গর্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে মারাঠি ভাষা গৌরর দিবস।

শিক্ষায় ভাষার প্রচার এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে মারাঠি ভাষা শিখতে, উপলব্ধি করতে এবং ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার জন্যও পালন করা হয় মারাঠি ভাষা গৌরর দিবস। ১৯৬০ সালের ১ মে থেকে মহারাষ্ট্র রাজ্যের "সরকারি ভাষা" হয়ে ওঠে মারাঠি। ১৯৬৪ সালের মহারাষ্ট্র সরকারী ভাষা আইন অনুসারে, আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে মারাঠি ভাষা। ১৯৬৬ সালের ১ মে থেকে রাজ্যের সকল সরকারি কাজে মারাঠি সরকারি ভাষা আইন কার্যকর করা হয়। মারাঠি দিবস পালন করার জন্য রাজ্য জুড়ে স্কুল ও কলেজগুলিতে প্রবন্ধ লেখার প্রতিযোগিতা, সেমিনার এবং সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, নৃত্য এবং কবিতা পরিবেশিত হয় এই ভাষায়। মারাঠি ভাষা দিবস মূলত মহারাষ্ট্র এবং গোয়াতে পালন করা হয়, যেখানে মারাঠি সরকারী ভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now