Durga Puja 2019: পুজো মণ্ডপে গেলেই এবার দেখতে পাবেন এমন বল; কাঠ-কাগজ-তেল-গ্যাস-বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগলে দ্রুত নেভাতে সক্ষম এই বল

এবার পুজো মণ্ডপে (Pandal) গেলেই দেখতে পাবেন ‘ফায়ার বল। (Fire Ball)’খোদ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Basu) পরামর্শে পুজোর উদ্যোক্তারা এবার মণ্ডপে রাখবেন অগ্নিনির্বাপক ‘ফায়ার বল।’দমকল দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে দমকলমন্ত্রী বলেন, ছোটখাট আগুন নিয়ন্ত্রণ বা নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে এই ফায়ার বল।

(Photo Credits: All India Trinamool Congess/Twitter)

কলকাতা, ১ অক্টোবর: এবার পুজো মণ্ডপে (Pandal) গেলেই দেখতে পাবেন ‘ফায়ার বল। (Fire Ball)’খোদ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Basu) পরামর্শে পুজোর উদ্যোক্তারা এবার মণ্ডপে রাখবেন অগ্নিনির্বাপক ‘ফায়ার বল।’দমকল দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে দমকলমন্ত্রী বলেন, ছোটখাট আগুন নিয়ন্ত্রণ বা নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে এই ফায়ার বল। মোট ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা খরচ করে ২ হাজার বল কিনেছে দমকল দফতর। এগুলি প্রত্যেকটি দমকল কেন্দ্রে (Fire Station) পাঠিয়ে দেওয়া হবে যাতে সুবিধা মতো ব্যবহার করতে পারেন দমকলের কর্মীরা।

এই বলের ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। আগুনের মধ্যে এই বলটিকে ছুঁড়ে দিলে ৩ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তা ফেটে যাবে। তখন এরমধ্যে থাকা মনো-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের গুঁড়ো চেন ব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে এবং অক্সিজেন কমিয়ে আগুন নিভিয়ে দিতে সক্ষম হবে। বৈদ্যুতিক সার্কিট বাক্স, গ্যাস গুদাম, কম্পিউটার সার্ভার রুমে এই ফায়ার বল ব্যবহার করা যাবে। দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কাঠ, কাগজ, তেল, গ্যাস বা বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগলে, তা দ্রুত নেভানোর ক্ষেত্রে এই বল বিশেষভাবে কার্যকর। মণ্ডপগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন দমকলমন্ত্রী সহ ডিজি ও আধিকারিকেরা। আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: দক্ষিণ কলকাতায় ১১ টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মমতা ব্যানার্জি; টুইট করে নিজেই সামনে আনলেন আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি

কলকাতার বড় বড় মণ্ডপ নয়, প্রত্যেকটি জেলার সবকটি নামকরা পুজোর সংলগ্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র থাকবে এবার। যাতে কোনও সময় অগ্নিকাণ্ডের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, দ্রুত পৌঁছে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। মোট ১৪২ টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অস্থায়ী কেন্দ্র করা হবে পুজো উপলক্ষে। তাছাড়া এ বছর শুকনো বালি, আঁকশি, প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পুজো মণ্ডপে রাখা আবশ্যিক করা হচ্ছে।