Bidhan Chandra Roy Birth and Death Anniversary: দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে হলদিয়া নদী বন্দর, পশ্চিমবঙ্গকে নিজে হাতে গড়েছিলেন রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়
বিধানচন্দ্র রায় (Bidhan Chandra Roy)। তিনিই ছিলেন রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১ জুলাই। দিনটির গুরুত্ব অনেক। কারণ এদিনেই ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। পশ্চিমবঙ্গকে নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন বিধানচন্দ্র। কলকাতা বন্দর থেকে শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠা দুর্গাপুর-আসানসোল কিংবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে কলকাতার বিমান যোগাযোগ। সবকিছুরই ভিত্তিপ্রস্থর করেছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায়।
প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন ডা. বিধানচন্দ্র রায় (Bidhan Chandra Roy)। তিনিই ছিলেন রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১ জুলাই। দিনটির গুরুত্ব অনেক। কারণ এদিনেই ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। পশ্চিমবঙ্গকে নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন বিধানচন্দ্র। কলকাতা বন্দর থেকে শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে ওঠা দুর্গাপুর-আসানসোল কিংবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে কলকাতার বিমান যোগাযোগ। সবকিছুরই ভিত্তিপ্রস্থর করেছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায়।
১৮৮২ সালের ১ জুলাই বিহারের পাটনার বাঁকিপুরে জন্ম বিধানচন্দ্র রায়ের। গ্রামের পাঠশালা থেকে শুরু হয়েছিল পড়াশুনা। পরে পাটনার টি. কে. ঘোষ ইনস্টিটিউশন এবং পাটনা কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশুনা করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য চলে আসেন কলকাতায়। কলকাতায় পড়াশুনার পাঠ সেরে পৌঁছে যান ইংল্যান্ডে। সেখানেও দক্ষতার ছাপ রেখে কর্মজীবন শুরু করতে ফিরে আসেন কলকাতায়। বেশ কিছুদিন কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিনের অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
১৯২৩ সাল। দেশবন্ধুর হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিধানচন্দ্র রায়ের। মহাত্মা গান্ধির ডাকে সাড়া দিয়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরুর উত্তরপ্রদেশে রাজ্যপাল হওয়ার প্রস্তাব। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিত্বে ১৯৪৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ১৪ বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
পেশাদার রাজনীতিবিদের পাশাপাশি ছিলেন তিনি একজন সুদক্ষ চিকিৎসকও। বলা বাহুল্য, একজন চিকিৎসকের পেশা কেবলমাত্র অর্থ উপার্জনের তাগিদেই নয়। তাঁর ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। কাজেই এ এক দায়বদ্ধতাও বটে। সেক্ষেত্রে তাঁর চিকিৎসা দক্ষতার সুনাম ছিল বিশ্বজুড়ে। কেনেডির চিকিৎসাও করেছিলেন তিনি। তাছাড়া ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেশবিদেশ থেকে লোকজন ছুটে আসতেন-মিশরের প্রেসিডেন্ট কর্নেল নাসের, রাশিয়া থেকে ক্রুশ্চেভ রয়েছেন তাঁদের দলে।
দার্জিলিঙে দেশের প্রথম পর্বতারোহণ শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠান, কলকাতার পাশাপাশি হলদিয়া নদী বন্দর, ফারাক্কা ব্যারেজ, দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুরকে সাজিয়ে তোলা সবকিছুতেই কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে আদায় করে নিয়েছেন বিধানচন্দ্র রায়। আবার মেয়র থাকার সময় জলনিকাশী ব্যবস্থা এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষাবিল নিয়ে কথা চালাচালি করেছেন। বলাই বাহুল্য রাজ্যটাকে প্রাণ দিয়ে হাতে গড়ে সাজিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়।