Ayodhya Verdict: সম্প্রীতির খাতিরে অযোধ্যার সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, জাফর ফারুকি

১৩৪ বছরের অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার অন্যতম অংশীদার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম রায়কেই (Ayodhya Verdict) সম্মতি জানিয়েছে এমনকী, রায় পুনর্বিবেচনার (review plea) জন্য কোনও পাল্টা আবেদনও করছে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কতা প্রসঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান জাফর ফারুকি (Zafar Farooqui) বলেন, মুসলিম পক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার দুটি কারণ রয়েছে। আযোধ্যা মামলার যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে তা যদি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়, তাহলে এতদিন ধরে সুপ্রিম রায়ের প্রতি যে সম্মান সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দেখিয়ে এসেছে তা ভঙ্গ করা হয়।

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং সুপ্রিম কোর্ট (Photo Credit: PTI/ANI)

লখনউ, ১৪ নভেম্বর: ১৩৪ বছরের অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার অন্যতম অংশীদার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম রায়কেই (Ayodhya Verdict) সম্মতি জানিয়েছে এমনকী, রায় পুনর্বিবেচনার (review plea) জন্য কোনও পাল্টা আবেদনও করছে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কতা প্রসঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান জাফর ফারুকি (Zafar Farooqui) বলেন, মুসলিম পক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার দুটি কারণ রয়েছে। আযোধ্যা মামলার যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে তা যদি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়, তাহলে এতদিন ধরে সুপ্রিম রায়ের প্রতি যে সম্মান সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দেখিয়ে এসেছে তা ভঙ্গ করা হয়। দ্বিতীয়ত যদি সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন ওঠে তাহলে ভারতের দুটি বৃহত্তর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের রেখা আরও তীব্র হয়ে উঠবে।

এদিকে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি মসজিদ গড়ার জন্য শহরের কোনও একটি এলাকায় ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় অন্যতম পক্ষ ইকবাল আনসারি আজ বলেন, ‘‘ওঁরা যদি আমাদের জমি দিতে চান, তা হলে আমাদের সুবিধা হয়, এমন জায়গাতেই দিতে হবে। সরকার অযোধ্যায় যে ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল, সেখান থেকেই ৫ একর মসজিদ গড়ার জন্য দিতে হবে। না হলে আমরা জমি নেব না।’’ ১৯৯১ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন জমি অধিগ্রহণ করেছিল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত অযোধ্যা-রায় দেওয়ার পরে আনসারি জানিয়েছিলেন, এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন না তিনি। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: চড়চড়িয়ে বাড়ছে দূষণ, বিপর্যয় এড়াতে দিল্লি উপকণ্ঠের স্কুলগুলিতে আজ কাল ছুটি

অন্যদিকে জমিয়ত উলেমা হিন্দের অযোধ্যা অঞ্চলের সভাপতি মৌলানা বাধা খানের মতে, মুসলিমরা বাবরি মসজিদের জন্য লড়েছিল, অন্য কোনও জমির জন্য নয়। তিনি বলেন,‘‘মসজিদের জন্য কোথাও কোনও জমি চাই না আমাদের। ওই জমি আমরা রাম মন্দিরের জন্যই ছেড়ে দিতে পারি।’’ আর সমাজকর্মী ইউসুফ খানের মতে, মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, অযোধ্যায় ইতিমধ্যেই অনেকগুলি মসজিদ রয়েছে। মসজিদের জমির বিষয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৈঠকে বসছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড।